শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৩

পশ্চিম রেলের সিন্দুক থেকে আট লক্ষাধিক টাকা গায়েব!

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » পশ্চিম রেলের সিন্দুক থেকে আট লক্ষাধিক টাকা গায়েব!
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৩



বঙ্গ-নিউজ ডটকম :রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বুকিং সহকারীর (টিকেট) কক্ষে রক্ষিত সিন্দুক থেকে আট লক্ষাধিক টাকা গায়েব হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টায় এ বিপুল পরিমাণ টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে পশ্চিম রেলে তোলপাড় শুরু হয়। তবে এ টাকা গায়েবের পিছনে প্রধান বুকিং সহকারী রাব্বেল আলী, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন ও বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন রেলের কর্মকর্তারা। ঘটনার পর প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন ঢাকায় ও বিভাগীয় বাণিজ্যিক অফিসার শফিকুল ইসলাম ইশ্বরদীর পাকশিতে রয়েছেন। খবর পেয়ে দুপুরে প্রধান বুকিং সহকারী রাব্বেল আলীকে জিজ্ঞাবাদ শুরু করেছেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রেলওয়ের প্রধান বুকিং সহকারী (টিকেট) রাব্বেল আলী তার সিন্দুকে আগের দিনের টিকেট বিক্রির রক্ষিত ৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা নিতে গিয়ে দেখেন, সেখানে কোনো টাকা নেই। এই টাকা সেখান থেকে ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা। এদিকে, টাকা না দেখতে পেয়ে তিনি কক্ষেই চেচামেচি শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। সিন্দুকের তালা ভাঙা না থাকলেও টাকা গায়েবের পেছনে তার হাত রয়েছে বলে সেখানেই মন্তব্য করেন রেলের অন্য কর্মচারিরা। ওই সিন্দুকের চাবি রাব্বেল আলীর কাছেই থাকতো বলে জানা গেছে। এদিকে, রেলওয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র অভিযোগ করেছে, রাব্বেল আলী এর আগেও রেলের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ কারণে তাকে ঈশ্বরদীতে বদলি করা হয়। তবে প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন ও বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম তাকে সম্প্রতি আবারও রাজশাহী স্টেশনে বদলি করে নিয়ে যান। এরপর থেকে ক্ষমতার জোরে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। এ ব্যাপারে পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) মুরাদ হোসেন বলেন, তিনি ঢাকায় রয়েছেন। এ বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তবে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। রেল কর্মকর্তারা জানান, তিনি পাকশিতে রয়েছেন। এছাড়া যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে পশ্চিম রেলের জেনারেল ব্যবস্থাপক (জিএম) ফেরদৌস আলমের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১:৪৫:৫৯   ৫২১ বার পঠিত