রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৪
স্লানোৎসব আজ গভীর রাত থেকে শুরু
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » স্লানোৎসব আজ গভীর রাত থেকে শুরুডেস্করিপোর্টঃনারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ স্লানোৎসব আজ রোববার গভীর রাত থেকে শুরু হবে।স্লান চলবে সোমবার গভীররাত পর্যন্ত। স্লানোৎসবে আগতদের নিরাপত্তায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম লাঙ্গলবন্দে স্লানোৎসবকে ঘিরে নেওয়া নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। ২দিন ব্যাপি স্লানোৎসবকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে মোট ৮২৪জন পুলিশ কাজ করবে। উপর থেকে নজররাখতে ৪টি ওয়াচ টাওয়ার এবং ২৪টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। লাঙ্গলবন্দ স্লান উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিতোষ কান্তি সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব চক্রবর্তী জানান,
স্লানের লগ্ন শুরু হবে রোববার দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে। লগ্ন শেষ হবে সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে। তবে সোমবার সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত অমৃত জোঁক থাকবে। এই সময়টাতেই পূণ্যার্থীদের ভীড় বেশি হবে বলে স্লানোৎসবের আয়োজকরা জানান। পূণ্যার্থীদের স্লানের জন্য ১৪টি ঘাট প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া স্লানের পর নারী পূণ্যার্থীদের কাপড় বদলের সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্লান উপলক্ষ্যে ৩৩টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্যাম্প স্থাপন করে সেবা প্রদান করবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা: দুলাল চন্দ্র চৌধুরী জানান, তাদের ৩টি মেডিকেল টিম পূন্যার্থীদের ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করবে।
সরকারীভাবে গঠিত স্লাসোৎসব ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মেরাজ হোসেন জানান, স্লানঘাটসহ যাতায়াত পথে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, ৭০টি টয়লেট, ২৫টি পানির ট্যাংকি, ৫০টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মনোজকান্তি বড়াল জানান, এবছর লাঙ্গলবন্দে নতুন পরিবেশে পুণ্যার্থীরা স্লান করবে। পর্যটন বোর্ড কর্তৃক বরাদ্দকৃত প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে স্লান ঘাট গুলোর ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও মহিলাদের জন্য চেঞ্জিং রুম, নতুন পানির পাইপ বসানোসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম জানান, স্লানোৎসবকে নির্বিঘ এবং নিরাপদ করতে তার নেতৃত্বে ৯জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, একই সংখ্যক সহকারি পুলিশ সুপার, ১৫ জন পরিদর্শক, ৬০ জন উপ-পরিদর্শক, ৭ জন নারী উপ-পরিদর্শক, ৭৩ জন সহকারি উপ-পরিদর্শক, ৪৪৫ জন কনসটেবল, ৫৩ জন নারী কনসটেবল, ৫৭ জন সাদা পোশাকের পুলিশ এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ৯৬ জন ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে। এছাড়া পুরো এলাকার উপর নজরদারি করতে ৪টি ওয়াচ টাওয়ার এবং ২৪টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আগত পূণ্যার্থীদের চিকিৎসার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি মেডিকেল টীমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর পুলিশের এসব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (মুছাপুর ইউপি) কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১২:৫১ ৪২০ বার পঠিত