মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০১৪

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লাশ ক্যাম্পাসে নিতে বাঁধা

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লাশ ক্যাম্পাসে নিতে বাঁধা
মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০১৪



image_30928_0.jpgবঙ্গ-নিউজডটকমঃময়মনসিংহে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পিটুনিতে গুরুতর আহত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদ ইবনে মমতাজ মারা গেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার বেসরকারী ক্লিনিক ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে নিহত শিক্ষার্থীর লাশ ক্যাম্পাসে নিতে ছাত্রলীগ বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত রবিবার ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিঙ বিভাগের একটি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষক অধ্যাপক ড.মো. রফিকুল ইসলাম সরদার জানান, কিন্তু ওই বর্ষের সুজয় কুমার কুন্ডু ও রোকনুজ্জামান ওই পরীক্ষা বন্ধের জন্য নিহত সাদকে চাপ প্রয়োগ করে। এতে করে ওইদিন মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। এ ঘটনায় সাদের সাথে ড.সরদার ও ওইবর্ষের শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশরাফুল হক হলের ২০৫ নম্বর রুমে সাদকে শিবির আখ্যা দিয়ে ডেকে এনে স্ট্যাম্প, লাঠি-সোটা দিয়ে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ার সেন্টারের কর্তব্যরত ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আশরাফুল হক হলের ডাক পেয়ে এক সহকারীকে সাথে নিয়ে হলে প্রবেশ করি। সাদের অবস্থা গুরুত্বর দেখে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সাদের বন্ধুরা অভিযোগ করে বলেন, সুজয় ও রোকনই সাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। ওরাই সাদকে ছাত্রলীগের হাতে তুলে দিয়ে মারধর করিয়েছে। সূত্রমতে, নিহত সাদের বাড়ি রাজশাহীতে। সে ছাত্রলীগের গত কমিটির আশরাফুল হক হলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল।
এদিকে, নিহত সাদের লাশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিতে ছাত্রলীগ বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, অতীতে কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে জানাজার জন্য লাশ ক্যাম্পাসে নেয়া হয়েছে এবং ক্যাম্পাসে জানাযা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত সাদের লাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনতে বাধা দিচ্ছে দলটি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে ভিতরে অবস্থান নিয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু সাদের বাবাকে মুঠোফোনে লাশ ক্যাম্পাসে না আনতে হুমকি দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.রফিকুল হক জানান, এ ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এ কমিটি ৭দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন। লাশ ক্যাম্পাসে আনতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিভাবক চাচ্ছেন না লাশ ক্যাম্পাসে আসুক। কারণ নিহতের বাবা চান না কেউ লাশ নিয়ে রাজনীতি করুক।

বাংলাদেশ সময়: ২১:১৭:৫৩   ৩৯৪ বার পঠিত