মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০১৪
সোনার বারসহ চারজন পুলিশ সদস্য আটক
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » সোনার বারসহ চারজন পুলিশ সদস্য আটকবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃরাজধানির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১৪৯টি সোনার বারসহ চারজনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং বাকি একজন পুলিশের সোর্স। মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সহকারী কমিশনার আবু ইউসুফ আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সোমবার গভীর রাতে রাজধানীতে এ অভিযান চালানো হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে রামপুরা থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, কনস্টেবল আকাশ চৌধুরী এবং কনস্টেবল ওয়াহিদুল ইসলাম ও পুলিশের সোর্স রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরই ঘটনার নাটকীয় মোড় নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন, গাড়িতে থাকা ১৬৫ পিস সোনার বার তারা নিজেরাই আত্মসাৎ করেছিলেন। পরে সেই সোনার বার উদ্ধারে শুরু হয় অভিযান। রাতভর অভিযানে ১৬৫ পিস সোনার বারের মধ্যে ১৪৯ পিস উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ইকবাল হোসাইন বলেন, উদ্ধার করা সোনার বারের সংখ্যা বেশি হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনেই এর বিস্তারিত জানানো হবে। ডিবি পুলিশ রামপুরা থানার থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, কনস্টেবল আকাশ চৌধুরী এবং কনস্টেবল ওয়াহিদুল ইসলাম ও পুলিশের সোর্স রনিকে আটক দেখিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ রামপুরা ব্যাংক কলোনি বালুর মাঠ এলাকায় থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম প্রাইভেট গাড়িকে দাঁড়াতে বলেন। এ সময় গাড়ির চালক গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভেতরে থাকা আরো দুজনসহ পালিয়ে গেলে তিন গাড়ি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ১৬ মার্চ রাতে গাড়িটি ছাড়িয়ে নিতে তদবির করতে আসেন দৌঁড়ে পালানো গাড়ির ড্রাইভার সমির বিশ্বাস ও আরোহী মাহিন। পুলিশ তাদের কাছ থেকেই জানতে পারে, গাড়ির মধ্যে সোনার বার আছে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তারা ৭০ পিস সোনার বার ভর্তি কালোব্যাগ গাড়ির ভেতর থেকে বের করে দেন। এ সময় পুলিশ তাদের আটক করে।
অভিযোগ ওঠে, ওই গাড়িতে ২৩৫ পিস সোনার বার ছিল। যার মধ্যে ৭০ পিস উদ্ধার দেখিয়ে বাকিগুলো পুলিশ কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করেছেন। এ অভিযোগে থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ও পরিদর্শক (তদন্ত) নাসিম আহমেদ এবং এসআই মঞ্জুরুলকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গত ২০ মার্চ রামপুরা থানা থেকে উদ্ধার করা ৭০ পিস সোনার বার মহানগর গোয়েন্দা অফিসে নিয়ে আসা হয়। সোনার ২৫ মার্চ বারগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। পরে ঘটনার তদন্তে বাকি ১৬৫ পিস সোনার বার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৩:১৩ ৩৯৮ বার পঠিত