রবিবার, ৩০ মার্চ ২০১৪
স্বাধীনতা যুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » স্বাধীনতা যুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতিডেস্করিপোর্টরাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বিভিন্নভাবে বিকৃত করা হচ্ছে। বিশেষ মহল এটিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। নতুন প্রজন্মের সামনে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ‘বজলুর রহমান স্মৃতি পদক ২০১৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর ধারাবাহিক রিপোর্টের জন্য সিলেটের দৈনিক যুগভেরীর অপূর্ব শর্মা ও চ্যানেল আইয়ের রাজীব দাস ওই পদক গ্রহণ করেন।
দৈনিক সংবাদের সাবেক সম্পাদক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠক বিশষ্টি সাংবাদিক মরহুম বজলুর রহমানের নামে এ পদক প্রবর্তন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পন, সাংবাদিকরা এর কারিগর এবং সমাজ নির্মাণে মিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। ‘কিন্তু এ জন্য বিভ্রান্তিমুক্ত, আস্থামূলক ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অবশ্যই মিথ্যাকে মিথ্যা এবং সত্যকে সত্য বলার সাহস থাকতে হবে। তিনি বলেন, মূল কথা হচ্ছে অবিকৃত সত্য প্রকাশই স্বচ্ছ সাংবাদিকতা।
গণতন্ত্র ছাড়া মানবাধিকারের পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে না উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা জনগণের পূর্ণ স্বাধীনতার পাশাপাশি তাদের চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে। দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য আমাদের গণতান্ত্রিক যাত্রা আরো অর্থবহ করে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের গণতন্ত্র বিকাশে সংবাদপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদপত্র মতামত তুলে ধরার পাশাপাশি জনগণের আশা ও উদ্দীপনা জাগায় এবং সরকারের ভুলগুলো তুলে ধরে। রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বর্তমানে মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করার ক্ষেত্রে সংবাদপত্রেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার কারণে সংবাদ ও মতামত প্রকাশে মিডিয়াকে জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, বজলুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের কল্যাণে তরুণ সাংবাদিক সমাজ অবদান রাখবে। তিনি বলেন, বজলুর রহমান এমন এক ব্যক্তি যিনি অসাম্প্রদায়িক, ন্যায়ভিত্তিক ও মুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিরবে কাজ করে গেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সরওয়ার আলী ও আলী যাকের বক্তব্য রাখেন। মরহুম বজলুর রহমানের স্ত্রী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং মন্ত্রী পরিষদের অন্যান্য সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৮:১৪ ৪৬৮ বার পঠিত