রবিবার, ২৩ মার্চ ২০১৪
কেরাণীগঞ্জে গাজর চাষীদের মুখে হাসি
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » কেরাণীগঞ্জে গাজর চাষীদের মুখে হাসিতমালবঙ্গনিউজডটকম:কেরাণীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর এলাকার কৃষকরা গাজর চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়ে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে লক্ষ লক্ষ টাকা জোগান দিচ্ছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় স্বাবলম্বী হচ্ছেন কেরাণীগঞ্জের গাজর চাষীরা। জগন্নাথপুর এলাকার গাজর চাষী সোবাহান আলী বলেন, অল্প সময়ে অধিক ফলন, অধিক লাভ এবং এ এলাকা গাজর চাষে উপযোগী হওয়ায় এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চাষিরা। টানা তিন মাস পরিচর্যায় পরিপুষ্ট হলে গাজর বিক্রি করে থাকেন তারা। এখন গাজর বিক্রি শুরু হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্হা ভালো হওয়ায় পাইকাররা ক্রয় করে জমি থেকে তুলে নিচ্ছেন এবং কৃষকরা নিজেরা জমি থেকে তুলে স্হানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন চোট-বড় বাজারে বিক্রি করছেন। এ এলাকার অন্যান্য কৃষকরা এ ফলন দেখে তারাও গাজর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
অপেক্ষাকৃত কম খরচে বেশী লাভ হওয়ায় উচ্চ ফলনশীল জাতের গাজর চাষে আকৃষ্ট হয়েছেন তারা। রবি মৌসুমের শুরুতে খুব কম খরচে গাজর চাষ করে সহজেই বেশী আয় করা সম্ভব হয়। অপেক্ষাকৃত লাভ বেশী হওয়ায় আমার মত অনেক কৃষক অল্প জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের গাজর চাষ করে ইতোমধ্যেই বদলে গেছে অনেকের ভাগ্য।
তিনি আরও বলেন, ৫ বিঘা জমিতে তার গাজর চাষ করে খরচ হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। প্রতিদিন ১০ জন শ্রমিক কাজ করছে। প্রতি বিঘা জমিতে গাজর উৎপাদিত হচ্ছে ৮০/৯০শ’ মন। উচ্চ ফলনশীল গাজর ১০/১৫ সে.মি লম্বা এবং আকর্ষণীয় গাঢ় কমলা রঙের মসৃণ। এই গাজর ৭০/৮০ দিনে বাজারজাত করার উপযোগী হয়।
৫ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করে সে লাভ করেছেন ১ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে কেরাণীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেম ঢালী বলেন, গাজর চাষে তেমন কোন কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। পরিশ্রমও খুব কম। কৃষকরা যদি উন্নত বীজ, জমির পরিচর্যা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে গাজর চাষ করে তাহলে অতি অল্প সময়ে এ চাষে অধীক মুনাফা করতে সক্ষম হবে । কেরাণীগঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দিন দিন গাজরের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাজর একটি উন্নত মানের সবজী, সালাত ও গাজরের হালুয়া অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৪:৪৫ ৪০০ বার পঠিত