রবিবার, ২৩ মার্চ ২০১৪
জালভোট, কেন্দ্র দখল চলছে, অভিযোগ রিজভীর
Home Page » জাতীয় » জালভোট, কেন্দ্র দখল চলছে, অভিযোগ রিজভীরকাঞ্চন বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ চতুর্থ দফার উপজেলা নির্বাচনে সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা জালভোটের উৎসব করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। আর পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলেও অভিযোগ দলটির।রোববার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ উথ্থাপন করেন।
তিনি বলেন, বেশ কিছু উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী-সমর্থকদের ওপর হামলা এবং কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিষয়গুলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বরং তাদেরই উল্টো আটক করার হুমকি দিচ্ছে।
বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকদের জালভোট, কেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি।
রোববার ঢাকার ধামরাই, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, পাবনার ঈশ্বরদী, ফরিদপুর; ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড; নড়াইলের নড়াইল সদর; খুলনার তেরখাদা, রূপসা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ ও ফুলতলা; পিরোজপুর সদর, ভাণ্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া ও জিয়ানগর; টাঙ্গাইলের কালিহাতি, মধুপুর, নাগরপুর ও ভুয়াপুর; হবিগঞ্জের সদর, নবীগঞ্জ, আজমিরিগঞ্জ ও লাখাই; জয়পুরহাটের পাঁচবিবি; রাজশাহীর তানোর, বাগমারা ও পুঠিয়া।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর; পটুয়াখালীর সদর, দুমকী, বাউফল, গলাচিপা ও মির্জাগঞ্জ; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, নাসিরনগর; কুমিল্লার মেঘনা ও বরুড়া; চাঁদপুরের শাহরাস্তি; ফেনীর সোনাগাজী ও ফুলগাজী; দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ ও ফুলবাড়ী; যশোরের সদর ও কেশবপুর, সাতক্ষীরার কলারোয়া, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, বাগেরহাট মোল্লারহাট ও চিতলমারী; ভোলার তজুমুদ্দিন, দৌলতখান ও মনপুরা; বরিশালের আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও বানরীপাড়া; গাজীপুরের কালিয়াকৈর।
রাঙামাটির জুড়াছড়ি, সিলেট সদর ও কানাইঘাট; চট্টগ্রামের বাঁশখালী, রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, সাতকানিয়া ও আনোয়ারা; ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, সিরাগঞ্জের চৌহালী, মৌলভীবাজার সদর শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ, নাটোরের বড়াইগ্রাম, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা ও ধর্মপাশা; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, ঝালকাঠী সদর, কাঠালিয়া, নলসিটি ও রাজাপুর, বগুড়ার গাবতলী, নেত্রকোনা মদন, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ইটনা, মিঠামাইন, তাড়াইল ও কটিয়াদি; বরগুনার বেতাগী; কক্সবাজারের রামু ও কুতুবদিয়া; বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চতুর্থ দফা নির্বাচনে এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৯৫৬ ও নারী ভোটার ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৩১২ জন।
চতুর্থ ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এক হাজার ১৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৮৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৮৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১২ জন।
এ দফায় মোট ভোটকেন্দ্র ৫ হাজার ৮৮২টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৩৮টি। মোট কর্মকর্তার সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৮৯৬ জন।
এছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ৩৬৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৯১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৪:২৭ ৩৮০ বার পঠিত