বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৩
সাভারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩,এখনও বহু আটকে
Home Page » প্রথমপাতা » সাভারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩,এখনও বহু আটকেবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ বাংলাদেশে বুধবার ধ্বসে পড়া বহুতল কারখানা ও অফিস ভবনের নীচ থেকে এ পর্যন্ত ২৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকার কাছে সাভারে ‘রানা প্লাজা’ নামের এই ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনো বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উদ্ধার কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনো এক থেকে দেড় হাজার লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
“অনেক মহিলা, পুরুষ তাদের বের করার জন্য আকুতি জানিয়ে চিৎকার করছেন। অনেকে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টের কথা বলছেন। ”
সায়েদুল ইসলাম, বিবিসির সংবাদদাতা
সাভারের দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজের সমন্বয় করছেন সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সেখানে দমকল বাহিনী, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণও উদ্ধার কাজে সহায়তা করছেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিবিসির আকবর হোসেন জানান, উদ্ধার কাজে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে যাতে ভবনের নীচে এখনো কেউ জীবিত অবস্থায় থাকলে তাদের যেন কোন ক্ষতি না হয়।
ধসে পড়া ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া এক যুবক
তিনি জানান, নিহতের সংখ্যা প্রতি মূহুর্তে বাড়ছে। আজ সকালে মাত্র দু ঘন্টার ব্যবধানে ২৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কর্মীরা জীবিত অবস্থায়ও দুজনকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধার করা লাশগুলো সাভারেই এক মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর লাশ সনাক্ত করে আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। অনেক লাশ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় এখনো পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি।
বিবিসিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বিবিসিকে বলেছেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ইমারত নির্মাণের নিয়ম কানুন যথাযথ অনুসরণ করা হয়নি বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তবে একইসাথে মন্ত্রী বলেন, কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।
“কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে…ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে”
মহিউদ্দিন খান আলমগীর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী জানান, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দমকল বাহিনীর প্রধান বলেন, ভেঙ্গে পড়া ভবনটির অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে বিভিন্ন দিক থেকে কেটে ভেতরে ঢুকতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, উদ্ধারকাজ আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত গড়াতে পারে।
সন্ধ্যার পর ফ্লাড লাইট নিয়ে উদ্ধার চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলেও, ভবন কাটার জন্য ভারী কোন যন্ত্র ব্যবহারের তেমন কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
উদ্ধারকাজের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন সেনা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আটকে পড়া মানুষজনের প্রাণহানির ভয় পাচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, তারা চেষ্টা করছেন ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া লোকজনকে যতটা সম্ভব নিরাপদে বের করে আনতে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৭:২৩ ৫১২ বার পঠিত