বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৩
সম্প্রতি ধারাবাহিকভাগে কমে আসছে ডলারের দাম
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » সম্প্রতি ধারাবাহিকভাগে কমে আসছে ডলারের দামনানা পদক্ষেপের পরও ঠেকানো যাচ্ছে না ডলারের দরপতন। গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বেড়েছে চার দশমিক সাত এক শতাংশ।
এতে আমদানি ব্যয় কমে আসলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রপ্তানিকারকেরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, যোগান বেশি থাকার কারণেই ডলারের এ দরপতন।
সম্প্রতি ধারাবাহিক ভাবে কমে আসছে ডলারের দাম। গত এক বছরে ডলারের দাম কমেছে তিন টাকা ৮৬ পয়সা। অর্থাৎ শক্তিশালী হয়ে বেড়েছে টাকার মান।
আমদানি ব্যয় কমে যাওয়া, বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এখন রেকর্ড পরিমাণ।
ধারণা করা হচ্ছে, এগুলোই ডলারের দাম কমার মূল কারণ। ডলারের দর স্থিতিশীল রাখতে চলতি অর্থবছরের দশ মাসে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তারপরও যোগান বেশি থাকায় ডলারের দাম ধরে রাখা যাচ্ছেনা বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এম মাহফুজুর রহমান।
ডলারের দাম কমে আমদানিকারকরা লাভবান হচ্ছেন। তবে এতে দেশের অর্থনীতির অন্যতম নিয়ামক রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ওপর নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রপ্তানিকারকদের।
এ অবস্থায় চলতি বাজেটেই রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দামে কিছুটা সুবিধা থাকা উচিত বলে মনে করেন ইএবি সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে সরকার কোনো নির্দেশনা দিলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৯:০৮ ৪৫৯ বার পঠিত