বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০১৪
৮১ উপজেলায় সেনা মোতায়েন,শনিবার ভোট
Home Page » জাতীয় » ৮১ উপজেলায় সেনা মোতায়েন,শনিবার ভোটবঙ্গ-নিউজঃডেস্কঃ চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ৮১টি উপজেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে মোট পাঁচদিন তারা নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সূত্র জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে তারা। প্রতি উপজেলায় এক প্লাটুন করে সেনাবাহিনীর সদস্য টহল দেবে। বড় উপজেলাগুলোতে এ সংখ্যা বাড়তে পারে। পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি গাড়ি থাকবে। সঙ্গে সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।
এছাড়া মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (মহিলা চার, পুরুষ ছয়জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে। পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধু পুলিশের ক্ষেত্রে দু’জন হবে।
নির্বাচনী এলাকায় অপরাধীদের তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে ১৯ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৩২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
৮১টি উপজেলায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে। এসব এলাকায় মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। দশম সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ না নিলেও উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছে। যে কারণে উপজেলা নির্বাচন বরাবরের চেয়ে এবার হয়ে উঠেছে আরো জমজমাট। ফলে এ নির্বাচনকে ঘিরে বিরাজ করছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ।
নির্বাচন কমিশন তৃতীয় ধাপে ৮৩টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করলেও আগামী ১৫ মার্চ ভোট হবে ৪২ জেলার ৮১টি উপজেলায়। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করে উচ্চ আদালত। এছাড়া সহিংসতার কারণে গাজীপুরের শ্রীপুরের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসি সচিবালয়ের সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগে সব প্রচার প্রচারণা বন্ধ থাকবে। তা অব্যাহত থাকবে নির্বাচনের পর ৬৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। আইন ভঙ্গ করলে কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২২:১৬ ৩৯২ বার পঠিত