সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪

খাদ্য সঙ্কটের ঝুঁকিতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল

Home Page » বিশ্ব » খাদ্য সঙ্কটের ঝুঁকিতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল
সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪



food.jpgবঙ্গ-নিউজ:বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন শতাব্দীর মধ্যভাগের মধ্যে ৬০ শতাংশ না বাড়াতে পারলে মারাত্মক খাদ্য স্বল্পতা দেখা দিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে সামাজিক অস্থিরতা এবং গৃহযুদ্ধ। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও) একথা বলেছে।উলান বাতোরে আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা সম্মেলনে সোমবার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক হিরোউকি কোনুমা বলেন, “আগামী কয়েক দশকে বিশ্বের জনসংখ্যা ৯শ’ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এর সঙ্গে দ্রুত পাল্লা দিয়ে বাড়বে খাবারের চাহিদা। মানুষ আরো বেশি বেশি ধনী হতে থাকায় তাদের উন্নতমানের খাবারের চাহিদা বেড়ে যাবে”।

তিনি আরো বলেন, এই বাড়তি খাবারের চাহিদা পূরণে আরো খাদ্যের প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু বিশ্বে কৃষি গবেষণায় দিন দিনই অনেক কম অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এতে করে খাদ্যের বাড়তি চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খাদ্য উৎপাদন বাড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান বিজ্ঞোনীরা।

কোনুমা বলেন, “আমরা লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে যদি খাদ্য স্বল্পতা দেখা দেয় তাহলে সামাজিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা, গৃহযুদ্ধ ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ার প্রচণ্ড ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। আর এভাবে গোটা বিশ্বের নিরাপত্তাই বিঘ্নিত হতে পারে”।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা অনেক কঠিন। এ দেশগুলোতে শস্য উৎপাদন ৭৭ শতাংশ বাড়াতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে অভুক্ত মানুষের সংখ্যা ১২ শতাংশে নামিয়ে আনার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হলেও এ অঞ্চলে রয়ে যাবে অর্ধশত কোটিরও বেশি ক্ষুধার্ত মানুষ, বলেন কোনুমা।

এফএও’র হিসাবমতে, বিশ্বে অনাহারের বিরুদ্ধে লড়াই সত্ত্বেও রয়ে গেছে অপুষ্টির শিকার ৮৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের বাস এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে। অপুষ্টির কারণে ৫ বছরের কম বয়সী ৪ জনে একজন শিশুর সঠিক বৃদ্ধি হচ্ছে না।

খাদ্যস্বল্পতা রোধে দুটো বিকল্প পথ বাতলেছে এফএও। প্রথমত, চাষযোগ্য জমি বাড়ানো এবং দ্বিতীয়ত, খাদ্য উৎপাদনের হার বাড়ানো। কিন্তু বর্তমানে যতটুকু চাষযোগ্য জমি আছে তার প্রায় পুরোটাই অপব্যবহার হচ্ছে। তাছাড়া গত দুই দশক ধরে খাদ্য উৎপাদনের হারও কম।

১৯৮০ সালে সবুজ বিপ্লবের সময় খাদ্য উৎপাদনের হারের ক্ষেত্রে চাল এবং গম উৎপাদন বছরে বেড়েছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু গত ২০ বছর ধরে খাদ্য উৎপাদনের হার ০ দশমিক ৬ থেকে ০ দশমিক ৮ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে।

বিশ্বে মারাত্মক খাদ্য স্বল্পতা এড়াতে হলে খাদ্য উৎপাদনের হার প্রায় ১ শতাংশে স্থির থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন কোনুমা।

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৫:৩১   ৪০০ বার পঠিত