বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৩
পানি, শুকনো খাবার, টর্চলাইট এবং পর্যাপ্ত আলো দরকার
Home Page » ফিচার » পানি, শুকনো খাবার, টর্চলাইট এবং পর্যাপ্ত আলো দরকারবঙ্গ-নিউজ ডটকম:বিকেল থেকেই যেন সবার মধ্যে একটা তাড়া। সন্ধ্যা নামার আগেই উদ্ধার কাজ যতোটা সম্ভব শেষ করতে হবে। ভবনের ভেতরে তখনো হাজার হাজার মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভবনের ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসা ভাগ্যবান আহত শ্রমিকরা জানিয়েছেন প্রতিটি ফ্লোরে অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ আটকা পড়ে আছে। সূর্যের আলো শেষ হয়ে গেলে ধসে পড়া ভবনের ভেতরটা কেমন হবে সেটা খুব সহজেই অনুমেয়। এমনিতেই বৈশাখের এই কাঠফাটা গরমে তপ্ত রোদে উদ্ধারকারী এবং এখানে উপস্থিত সবার অবস্থা খারাপ। আর ভেতরে যারা আটকে আছেন তারা কেমন আছেন? দুপুরের দিকে উপস্থিত জনতা গামছার মতো ছোট ছোট কাপড়ে করে টাকা সংগ্রহ করেছেন ভেতরের জীবিত শ্রমিকদের জন্য খাবার কেনার জন্য। ভবনটির ওপরে যারা দাঁড়িয়ে সকাল থেকে ক্রমাগত উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছিলেন তারা ইশারায় দেখাচ্ছিলেন পানি লাগবে, করাত লাগবে, হাতুড়ি লাগবে, রড কাটার মেশিন লাগবে। বিশাল আকারের এক কাপড়ের এক মাথায় একসাথে দশ থেকে পনেরোটি করে পানির বোতল বেঁধে দিচ্ছে নিচে থাকা মানুষজন। আর সেটি টেনে উপরে নিচ্ছেন তারা। সেই পানি যেভাবে পারা যাচ্ছে ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে। অপরদিকে সকাল থেকেই আহত শ্রমিকদের রক্তের প্রয়োজনে মাইকে বার বার করে রক্তের জন্য আহবান জানানো হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সেনাকর্মকর্তা, চিকিৎসক সহ সাধারণ মানুষ সাভারের এনাম হাসপাতালসহ সাভারের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভিড় জমায়। একই সঙ্গে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে রক্তের জন্য ঘোষণা দেবার সাথে সাথেই সেখানে রক্তদাতাদের লাইন পড়ে যায়। ইতিমধ্যে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ৫০০ ব্যাগ রক্ত এনাম মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আরও ২০০ ব্যাগ রক্ত পিজি হাসপাতালের ফ্রিজারে রাখা আছে। তবে অতিরিক্ত গরমে, অন্ধকারে, ভয়ে এবং অক্সিজেনের দরকার হয়ে পড়েছে খুব। ভেতর থেকে অক্সিজেনের জন্য আর্তনাদও করা হয়েছে। আরও দরকার পানি, শুকনো খাবার, টর্চলাইট এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা। অনেকেই যারা এখনো জীবিত আছেন তাদের বাচাঁতে হলে এসব জিনিসের ব্যবস্থা করা অতীব প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৯:৪১ ৫০৮ বার পঠিত