শনিবার, ৮ মার্চ ২০১৪
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসতমালবঙ্গ-নিউজডেস্ক:৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অগ্রগতির মূলকথা নারী-পুরুষ সমতা’। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ ঘিরে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন করার সময় বহু নারী গ্রপ্তোর ও নির্যাতিত হন।ওই ঘটনার সূত্র ধরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠিত হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’। আরো পরে ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার নারী শ্রমিকদের আরেক দফা আন্দোলনের মুখে আদায় হয় দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতানি্ত্রক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। তবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সাল থেকে এ দিবস পালন শুরু করলেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৭৭ সালে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের আপামর নারীদের শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানিয়ে বলেন, সভ্যতার শুরু থেকে সব উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশীদার হিসেবে সৃজনশীল ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পুরুষের পাশাপাশি নারীসমাজ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। সেদিক থেকে এ বছর নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য সময়োপযোগী ও যথার্থ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়টি স্পষ্টরূপে বিধৃত হয়েছে। নারীর অধিকার এবং সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ ও নারীর প্রতি সব বৈষম্য দূরীকরণে প্রণয়ন করা হয়েছে বিভিন্ন নীতি, বিধিমালা ও কর্মপরিকল্পনা। নারীর সমতা প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নারী জাগরণের অগ্রদূতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, তাঁদের আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠায় নারীর সম-অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আজ সর্বব্যাপী হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন, সমতা এবং উন্নয়নের মূলধারায় পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে দরিদ্র, নিরক্ষরতা, সহিংসতা ও শোষণমুক্ত দেশ গড়ায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপাসরন খালেদা জিয়া এক বাণীতে বলেন, ‘নারীর অগ্রগতি হলে মানবপ্রগতির সর্বাধিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করেছিলেন। ফলে যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারে থাকাকালে আমরা নারীসমাজের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০১:৪২ ৫০৮ বার পঠিত