বুধবার, ৫ মার্চ ২০১৪

তদন্তের কোন অগ্রগতি জানাতে পারেনি র‌্যাব……।

Home Page » প্রথমপাতা » তদন্তের কোন অগ্রগতি জানাতে পারেনি র‌্যাব……।
বুধবার, ৫ মার্চ ২০১৪



images1.jpgবঙ্গ নিউজ ডটকম, ঢাকা : সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হলেও সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের শুনানির এখতিয়ার না থাকায় তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।বুধবার সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন জানাতে র‌্যাবের সিনিয়র উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাফর উল্লাহ বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে দুপুর ২টায় হাজির হন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানির এখতিয়ার না থাকায় তা খারিজ করে দেন।

এর আগে ওই হত্যা মামলায় তদন্তের অগ্রগতি জানাতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে হাইকোর্ট।

হত্যাকাণ্ডের পর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও অভিযোগপত্র না হওয়ায় এ মামলায় গ্রেফতার তিন আসামি ওই দিন জামিন চাইতে হাইকোর্টে গেলে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

পুলিশ হত্যা রহস্যের কিনারা করতে না পারায় হাইকোর্টের নির্দেশেই ২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল মামলাটি র‌্যাবে হস্তান্তর করা হয়।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি।

র‌্যাব তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর সন্দেহভাজন ১৬ জনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়। এছাড়া আলামত হিসেবে জব্দকৃত ছুরি ও পোশাকের নমুনাও পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও খুনি সনাক্ত করা যায়নি।

হত্যাকাণ্ডের এক বছর আট মাস পর ঘটনায় ‘জড়িত’ আটজনকে চিহ্নিত করে সাতজনকে গ্রেফতারের কথা জানান তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এর মধ্যে পাঁচজনই আবার চিকিৎসক নেতা ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই হত্যা মামলার আসামি।

গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও কামরুল হারান অরুণ নামে তিনজনের পক্ষে জামিনের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে আসেন তাদের আইনজীবী এস এম মাসুদ হোসেন দোলন।

শুনানিতে তিনি বলেন, ওই তিনজনকে নিতাই হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। পরে তাদের সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এ মামলায় অভিযোগপত্র হয়নি। মামলার অগ্রগতি না হওয়ার পরও আসামিদের আটকে রাখা হয়েছে। তাদের জামিন দেওয়া হোক।

এরপর আদালত বলেন, আমরা তদন্তের অগ্রগতি জেনে তারপর জামিনের বিষয়ে আদেশ দেব।

তদন্তের অগ্রগতি জানতেই র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তাকে ৫ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৫:১০   ৩৮৬ বার পঠিত