রবিবার, ২ মার্চ ২০১৪

শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন ফাঁসকে ‘গুজব’ বললেন

Home Page » জাতীয় » শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন ফাঁসকে ‘গুজব’ বললেন
রবিবার, ২ মার্চ ২০১৪



nahid.jpgরাসেদুল হাসান লিটন(বঙ্গ-নিউজ)ঃ এসএসসি ও এইচএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলেও তাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। 

চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠার মধ্যে তিনি রোববার সংসদে বলেন, “সাজেশন থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন পড়ার এ বিষয়টিকে অনেকে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব হিসেবে চালিয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস চালায়।”

শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ তারা পাননি।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা ও দিনাজপুর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বাংলা বিষয়ে ৫০ শতাংশ এবং ইংরেজির ৮০ শতাংশ প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মিলেছে।

গত বছরে ২০ থেকে ২৮ নভেম্বর পর‌্যন্ত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধের কারণে গত ৬ ডিসেম্বর ওই পরীক্ষা শেষ হয়।

এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।

প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে।

আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, “মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি/এসএসসি, জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সবসময় দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে থাকে। এ সত্বেও এক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে।”

আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইননের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে ১ হাজার ৫১৯ টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা সরকারি ভাতা পেয়ে থাকেন।

মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ভাতা পাওয়া সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসা আছে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায়। জেলা দুটিতে ৭৪টি করে মাদ্রাসা আছে।

এ দুটি জেলার পর সর্বোচ্চ সংখ্যক মাদ্রাসা আছে নওগাঁ ও সাতক্ষীরায় ৫৮টি করে, টাঙ্গাইলে ৫২টি ও কক্সবাজারে ৫০টি। সবচেয়ে কম মাদ্রাসা আছে মানিকগঞ্জে চারটি।

আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদারের এক সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। মাদ্রায় ঢুকলেই আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শিক্ষা দেয়া হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কি ব্যবস্থা নেবে জানতে চান তিনি।

জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যেসব মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের আওতায়, সেগুলো সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা পেয়ে থাকে। অভিযোগ এক কথায় নাকচ করছি না। আংশিক সত্যতা থাকলেও থাকতে পারে।”

মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত সব এবতেদায়ি মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৬:৫৫   ৪০৬ বার পঠিত