রবিবার, ২ মার্চ ২০১৪
প্রথমবারের মতো যন্ত্রচালিত ডিজিটাল ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা হচ্ছে
Home Page » জাতীয় » প্রথমবারের মতো যন্ত্রচালিত ডিজিটাল ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা হচ্ছে(খোকন)-বঙ্গ-নিউজ ডটকম: বড়বড় মার্কেটগুলোতে চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার হলেও এই প্রথমবারের মতো রাস্তা পারাপারে যন্ত্রচালিত ডিজিটাল এস্কেলেটর বা চলন্ত সিঁড়ি স্থাপন করা হচ্ছে ফুটওভার ব্রিজে।রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর রোডের মাথায় অত্যাধুনিক এই ফুটওভার ব্রিজটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) এর উদ্যোগে স্থাপিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ব্রিজটির কাজ পুরোপুরি শেষ হলে পথচারীকে রাস্তা পারাপারে কষ্ট করে ফুটওভার ব্রিজের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হবে না।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে নির্মীত অত্যাধুনিক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প কর্মকর্তা সাঈয়েদ মোহাম্মদ আবদুহু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের পাশবর্তী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীনসহ উন্নত দেশগুলোতে এ ধরণের ব্রিজ ব্যবহার করা হচ্ছে। এবারই বাংলাদেশে প্রথম এই ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে রাস্তাপারাপারে পথচারীরা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে উৎসাহী হবে। ফলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে। এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধ মানুষেরা বেশি উপকৃত হবে।
এটি উন্মুক্ত করা হলে এ এলাকার পথচারীরা নির্বিঘ্নে রাস্তা পার হতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০ জনেরও অধিক শ্রমিক ব্রিজটির নির্মাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এর মধ্যে স্টিল দিয়ে ব্রিজের হাতল, লাইট, ছাউনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এ ব্রিজটির সঙ্গে যুক্ত করা হবে এস্কেলেটর বা চলন্ত সিঁড়ি। আর এস্কেলেটরের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৮ মিটার। ২০১৩ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটির কাজ শেষ হতে আরো অন্তত ১মাস লাগবে।
জানা গেছে, বিদ্যুৎচালিত এ ফুটওভার ব্রিজটি দৈনিক ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টার মতো চালু থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশিও চলমান রাখা হতে পারে। এর মাধ্যমে মূল ব্রিজে উঠতে সময় লাগবে মাত্র ২০ সেকেন্ড। লোডসেডিং এর সময়ও জেনারেটর দিয়ে এটি চালু রাখা হবে।
ব্রিজটি নির্মাণের পর প্রথম একবছর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে থাকবে। পরবর্তীতে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নির্মাণাধীন চলন্ত ফুটওভার ব্রিজের প্রকল্প পরিচালক মো. শিহাবুল্লাহ বলেন, ‘দুর্ঘটনা এড়িয়ে পথচারীদের রাস্তাপারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে উৎসাহিত করতে পরীক্ষামূলকভাবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীরাও রাস্তাপারাপারে সুযোগ পাবে। প্রথমবার এটি বনানীতে স্থাপন করা হলেও পর্যায়ক্রমে রাজধানীর সবকটি ফুটওভার ব্রিজকে ‘চলন্ত সিঁড়ি’ পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রকল্পটি সফল হলে আগামীতে লিফট চালিত ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের চিন্তা রয়েছে সিটি কর্পোরেশন।’ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৭:২৮ ৪৪৫ বার পঠিত