শনিবার, ১ মার্চ ২০১৪
দুর্গাপুরে একটি চক্র জাল দলিল করে হাতিয়ে নিয়েছে ৩ একর ৫৪ শতাংশ ভূমি।
Home Page » সারাদেশ » দুর্গাপুরে একটি চক্র জাল দলিল করে হাতিয়ে নিয়েছে ৩ একর ৫৪ শতাংশ ভূমি।তমালসাহাস্টাফ রিপোর্টার,সুসঙ্গ দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)
জেলার দুর্গাপুরে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস ও দলিল লেখকদের সহযোগিতায় একটি চক্র জাল দলিল করে হাতিয়ে নিল ৩ একর ৫৪ শতাংশ ভূমি।
জানা যায় ,দুর্গাপুর উপজেলার ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রামের ওয়াহেদ গনি ও ডলি বেগম এর পুত্র জামাল ও কামাল দুই সহোদর ভূমি দস্যু নকল দাদী সাজিয়ে জাল জালিয়াতী করে সংশি¬ষ্টদের সহায়তায় জাল দলিল করে হাতিয়ে নিয়েছে ৩ একর ৫৪ শতাংশ ভূমি। এক লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় দুর্গাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এস.আর মোঃ মোজাম্মেল হক, অফিস সহকারী মোঃ আবুল বাশার, দলিল লেখক শিশির বাবু, আব্দুস সালাম ও চিনাশ/সনাক্তকারী ইউসুফ আলী ভেন্ডার কে ম্যানেজ করে মোটা অংকের বিনিময়ে জাল দলিল করে ভূমি দস্যুরা নিয়ে গেছে ৩ একর ৫৪ শতাংশ ভূমি।
সুত্রে আরো জানা যায় বিগত ২২ডিসেম্বর ২০১৩ইং তারিখে দুর্গাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দাতা-ফুলের নেছা স্বামী মৃত- হাজী হাছেন আলী গ্রাম-বানিয়াপাড়া। গ্রহীতা-জামাল উদ্দিন,কামাল উদ্দিন পিতা- ওয়াহেদ গনি গ্রাম-নন্দনগর নামে এই ভুয়া দলিল সম্পাদন করা হয় যাহার নং- ৫৩৮৭। দুর্গাপুর ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রামের প্রাক্তন মরহুম জব্বার চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে নকল ফুলের নেছা সাজিয়ে এবং তার ছবি লাগিয়ে টিপসহি দিয়ে ভূয়া দলিল সম্পাদন করা হয়। বানিয়াপাড়া গ্রামের হাজী হাছেন আলী’র পুত্র মোঃ বাবুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত এক অভিযোগে বলা হয় অফিস সহকারী আবুল বাশার ৫ লক্ষ টাকার চুক্তিতে এই জাল জালিয়াতির মূল নায়ক হিসাবে কাজ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উক্ত বাবুল এস.আর অফিসে খোজ নিয়ে দলিলের নকল প্রাপ্ত হয়ে ঘটনার শতভাগ সত্যতা মিলে। এর পরপরই ৯ ফেব্র”য়ারী ২০১৪ ইং তারিখে জেলা রেজিষ্টারের বরাবর একটি অভিযোগ করেন।যার অনুলিপি সচিব আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, মহাপরিদর্শক, নিবন্ধন(আইজিআর)ঢাকা, জেলা প্রশাসক নেত্রকোনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রেসক্লাবকে প্রেরণ করে।
অভিযোগ পত্রের বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এস.আর মোঃ মোজাম্মেল হক.অফিস সহকারী মোঃ আবুল বাশার,দলিল লেখক শিশির বাবু, আব্দুস সালাম ও চিনাশ/সনাক্তকারী ইউসুফ আলী প্রতিবেদকের নিকট সত্যতা স্বীকার করেন এবং জালিয়াত করা মূল দলিলটি প্রতিবেদকের সম্মুখে হাজির করেণ সেই সাথে এস.আর মোজাম্মেল হক বলেন যেহেতু এটি জাল দলিল এবং অভিযোগ উঠেছে সেহেতু দলিলটি বালাম বহিতে উঠবেনা বা জেলা রেজিষ্টারের কাছেও পাঠানো হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে এস.আর মোজাম্মেল হক বলেন আমরা অনিয়মের আশ্রয় নেইনি হয়তোবা জামাল কামাল ও তার পিতা মাতা এই অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। অপর প্রশ্নে তিনি জানান মামলা হলে অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেগণ্য হবে এবং অপরাধীরা বিচারের সন্মুখীন হবে বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৫:০১ ৪৭১ বার পঠিত