বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
লন্ডনে মানববন্ধন বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতির দাবিতে
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » লন্ডনে মানববন্ধন বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতির দাবিতেবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃবাংলাদেশের বীরাঙ্গনাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে লন্ডনে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার লন্ডনের মেমসাহেব রেস্টুরেন্টের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহন করেন। এর আগে মেমসাহেব রেস্টুরেন্টে এক সুধী সমাজের আয়োজন করা হয়। সেখানে দেশের কয়েকজন বীরাঙ্গনার সঙ্গে সরাসরি স্কাইপি ও ফোনে কথা বলা হয়। বীরাঙ্গনারা তাদের অভাব-অনাটন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের অবহেলার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তাদের এবং তাদের পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান বীরাঙ্গনারা। সমাবেশের আয়োজকরা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে বীরাঙ্গনাদের উপর যুদ্ধকালীন অত্যাচার, নির্যাতনের ছবিও তুলে ধরেন। এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুর গাফফার চৌধুরী, হাউজ অফ লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস মঞ্জিলা পলাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান শরীফ, কবি শামীম আজাদ, এনটিভির ইউরোপের নির্বাহী পরিচালক সাবরিনা হুসেইন, মুজিবুল হক মনি, সাজ্জাদুল আজিজ মালিক, জোবায়দা নাসরিন প্রমুখ। সমাবেশে সকলে একমত হন যে, বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে ভুষিত করতে সকলকেই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির মাধ্যমে ভাতার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিতে হবে। সেই দাবি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে একটি স্মারকলিপি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসময়ে স্মারকলিপিটি পাঠ করে শোনান শহমিকা আগুন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বীরাঙ্গনারা শারীরিক ও মানসিকভাবে সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছেন। পরবর্তীতে এদের অনেকেই পরিবার ও সমাজ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছেন। দেশের জনগণ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করলেও তারা কিছু পাননি। এজন্য তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দিয়ে সমাজে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসা রাশেদ খান, ফেরদৌস আহমেদ ফয়সাল, স্মৃতি আজাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন জুয়েল রাজ এবং লিপি হালদার।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৭:২০ ৩৮৫ বার পঠিত