সোমবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা জারি, দেশে প্রথমবার এইচএমপিভি শনাক্ত
Home Page » জাতীয় » স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা জারি, দেশে প্রথমবার এইচএমপিভি শনাক্ত
বঙ্গনিউজ : দেশে প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তির শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইচএমপি ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সে সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
পৃথিবীর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, এ কারণে বাংলাদেশে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো : ১। শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
২। হাঁচি ও কাশির সময় গামছা বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
৩। ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৪। আক্রন্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫। ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।
৭। আপনি জ্বর, কাশি এবং শাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ইউনিট পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৫:০২ ● ২৯ বার পঠিত