বুধবার ● ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সারজিস : আমরা প্রশাসক দিয়ে দেশ চালানো দেখতে চাই না

Home Page » জাতীয় » সারজিস : আমরা প্রশাসক দিয়ে দেশ চালানো দেখতে চাই না
বুধবার ● ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪


ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজ : জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা প্রশাসক দিয়ে দেশ চলতে দেখতে চাই না। আমলারা আমলাতন্ত্রে তাদের যতটুকু টেরিটরি, তারা সেখানে কাজ করবেন।

এই কম্বিনেশন (সমন্বয়) যদি না থাকে তাহলে দিন শেষে যেভাবে রাষ্ট্রের ফাংশন করার কথা, সেভাবে ফাংশন করা সম্ভব নয়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে যে জিনিসটা পেতে চাই, আপনাদের (কাউন্সিলর) মধ্যে এমন কারো কথা আগামীতে যেন আমরা না শুনি, যিনি ক্ষমতা পেয়ে আবার সেই ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করেছেন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিলর কর্তৃক ছাত্র-গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সিটি ও পৌর কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে পুনর্বহালের দাবি ও বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে’ আয়োজিত কাউন্সিলর সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্দশা তারা যেভাবে বোঝেন, তাদের সঙ্গে যেভাবে মেশেন, তা কোনো আমলা কেন, যারা ওই বিভিন্ন অফিসে বসে থাকেন- যত বড় অফিসারই হোন না কেন, তাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শুধু কাউন্সিলর নয়, মেম্বার হোক, চেয়ারম্যান হোক, এমপি হোক বা মন্ত্রী হোক বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থনৈতিক কাঠামো বিবেচনায়, মানুষের খরচ বিবেচনায় নির্দিষ্ট একটি পদে একজন জনপ্রতিনিধির মাসিক যে একটি খরচ হয় তেমন একটি স্ট্যান্ডার্ড খরচ তাকে সম্মানী হিসেবে অবশ্যই দেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, আপনি যদি তা (স্ট্যান্ডার্ড খরচ) না দেন, আর চারদিক থেকে এটা-ওটার জন্য চাপাচাপি করেন, তাহলে দিনশেষে তাকে অন্য কোনো না কোনো উপায় বের করতে হয়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে আপনাদের শুধু একটি কথাই বলি, জনগণ এবং যারা জনগণের জায়গা থেকে কাজ করবেন, আমরা তাদের মধ্যে ব্রিজ হয়ে কাজ করতে চাই। আমরা তাদের কথাগুলো পুরো দেশের সামনে তুলে ধরতে চাই।

সারজিস আলম বলেন, আমরা আমাদের জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে একটি আহ্বান জানাই। তা হলো পুরো বাংলাদেশের মানুষের নতুন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, তাদের মনের ভেতর থেকে একটি প্রত্যাশা। আপনারা কে কোথায় যাবেন, সেটি আপনাদের বিষয়, কিন্তু মনে রাখবেন, আপনারা যদি সেই প্রত্যাশাকে সামনে রেখে আগামীর বাংলাদেশে কাজ না করেন, তাহলে শেখ হাসিনার পরিস্থিতিটা একবার অনুমান করবেন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি কাজ না করেন, তাহলে এক বছর, দুই বছর, পাঁচ বছর পার পেয়ে যাবেন কিন্তু তারপর পরিস্থিতি এবং অবস্থা তার (শেখ হাসিনা) মতোই হবে। তাহলে তার অবস্থাই যদি এমন হয়, তাহলে আমাদের মতো ছোটখাটো মানুষের অবস্থান জনগণ কোথায় নিয়ে ফেলবে, তা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, যে কোনো যৌক্তিক দাবিতে আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আমরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমরা আরও বিশ্বাস করি, দেশের মানুষকে সর্বোপরি বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে সামনে রেখে আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। যৌক্তিক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।

বাংলাদেশ সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মধু, বাংলাদেশ সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম কিবরিয়াসহ সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন এলাকার কাউন্সিলররা।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৪:৪৫ ● ১৭ বার পঠিত