মঙ্গলবার ● ১৮ জুন ২০২৪

ভারতের ফাঁসিদেওয়া স্টেশনের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা

Home Page » জাতীয় » ভারতের ফাঁসিদেওয়া স্টেশনের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা
মঙ্গলবার ● ১৮ জুন ২০২৪


ভারতে পণ্যবাহী ট্রেনের সাথে দুর্ঘটনা কবলিত কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন

বঙ্গ-নিউজ: ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, শিলিগুড়ি মহকুমার রাঙাপানি এলাকার ছোট নির্মল জোতে ফাঁসিদেওয়া স্টেশনের কাছে সকাল পৌনে নয়টার দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে উঠে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একটি বগি! ধাক্কায় প্রায় গুঁড়িয়ে যায় আরেকটি বগি।

জানা গেছে, আসামের শিলচর স্টেশন ছেড়ে আসা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শিলিগুড়ির নিকটবর্তী ফাঁসিদেওয়া রেলস্টেশনে পৌঁছালে একই লাইন ঢুকে পড়ে একটি পণ্যবাহী ট্রেন। একপর্যায়ে পণ্যবাহী ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে কাঞ্চনজঙ্ঘার পেছনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে একটি বগি পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের ওপর ওঠে যায়।

প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, পণ্যবাহী ট্রেনের চালক সিগন্যাল অমান্য করায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে পরে দাবি করা হয়, দুর্ঘটনার জন্য পণ্যবাহী ট্রেনের চালক দায়ী ছিলেন না। সকাল থেকেই রেলরুটের অনেকখানি অংশে অটোমেটিক সিগন্যাল ব্যবস্থা অকার্যকর ছিল। তাই ম্যানুয়াল বা হাতে লেখা মেমো দিয়েই গাড়ি চালানোর ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছিল। আর এতেই দুর্ঘটনায় পড়ে দুটি ট্রেন। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ জানতে রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশন তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে শিলিগুড়ির ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বিকট এক আওয়াজ শুনে তারা দুর্ঘটনার কথা জানতে পারেন। দ্রুতই তারা দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুর্গতদের উদ্ধারের কাজে লেগে যান। পরে উদ্ধারকর্মীরা এসে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। তারা হতাহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠান।

ওই গ্রামের বাসিন্দা বলেন, মানুষের আর্তনাদ শুনে, তাদের অবস্থা দেখে আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারিনি। এলাকার মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ বশিরউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর শোনার পর এলাকার কোনো বাড়িতে আর রান্না হয়নি। সোমবার আমাদের কোরবানির দিন ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার পর আর কোনো বাড়িতে কোরবানিও হয়নি। এলাকার সক্ষম সবাই দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তাদের হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন।

বশিরউদ্দিন আরও জানান, এলাকাবাসী অনেককে উদ্ধার করার পর সেখানে উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছায়। পরে সবার সহযোগিতায় আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা নিয়ে কয়েকরকম তথ্য পাওয়া গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নয়জন মারা গেছে, আহত হয়েছে ২৫ জন। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ৫৪ জন আহত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৮:৩৭ ● ১৪৯ বার পঠিত