রবিবার ● ১৬ জুন ২০২৪
গভীর রাতে বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা !
Home Page » জাতীয় » গভীর রাতে বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা !বঙ্গ-নিউজ: গভীর রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আটটি মহানগর কমিটি, অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের আটটি এবং সহযোগী সংগঠন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। একসঙ্গে এতগুলো কমিটি বিলুপ্তির কারণ উল্লেখ করেনি বিএনপি। তবে দলটির বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘অতীত আন্দোলনে ব্যর্থতার’ কারণে দলে বড় ধরনের সংস্কার আনতেই এই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত।
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির নগর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। বিশেষ করে বিএনপির বিভিন্ন মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বৃহত্তর আন্দোলনের ‘অগ্রভাগ’ হিসেবে যাদের দেখতে চায় বিএনপি, সেই ছাত্রদল ও যুবদলের ভূমিকা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়।
এতগুলো কমিটি একসঙ্গে বিলুপ্তির ঘোষণার আগে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। তাই দলের অনেক জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতা আগাম কিছুই জানতেন না। আগের মতো এবারও গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়, যা বাদ পড়া নেতাদের অনেককেই অসন্তুষ্ট ও বিস্মিত করেছে।
অচিরেই আরও কিছু কমিটি বিলুপ্ত করে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গত আন্দোলনে সবচেয়ে নিষ্ক্রিয় ছিল বরিশাল মহানগর। সেখান থেকে মজিবুর রহমান সরওয়ারকে সরিয়ে মনিরুজ্জামান খানকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। শুরু থেকেই নানা বিতর্ক ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে মনিরুজ্জামান খানের নেতৃত্বাধীন কমিটি।
দলের বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সম্প্রতি অতীত আন্দোলনে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ভূমিকা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পৌঁছায়। প্রতিবেদনটি তার উৎসাহেই তৈরি করা হয় এবং তিনি সেই ভিত্তিতে কমিটিগুলো পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেছেন তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার রাতে কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়ার আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক ভার্চুয়াল সভায় কথা বলেন তারেক রহমান। নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগের কথা জানিয়ে তাদের সহযোগিতা চান তিনি।
নয়টি কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর নতুন নেতৃত্ব নিয়ে নানা নাম আলোচনায় আসছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম যথাক্রমে নতুন কমিটিতে বহাল থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তরে তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, সুলতান সালাউদ্দিন ও সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর এবং দক্ষিণে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, হাবিবুর রশিদ ও তানভীর আহমেদের নাম নেতৃত্বের সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে বলে আলোচনা চলছে।
দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া হবে। যেসব কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিষ্ক্রিয়, তাদের নতুন নেতৃত্ব দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এমন নেতাদের একটি তালিকা রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটি, নির্বাহী কমিটি, মহানগর ও জেলা ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পুনর্গঠনের কথাও ভাবছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৩:৫৩ ● ১১৫ বার পঠিত