শনিবার ● ৬ এপ্রিল ২০২৪

“আন্তর্জাতিক সৃজনকলা পুরষ্কার-২০২৪” পেলেন কবি শ্যাম সুন্দর সিকদার

Home Page » শিক্ষাঙ্গন » “আন্তর্জাতিক সৃজনকলা পুরষ্কার-২০২৪” পেলেন কবি শ্যাম সুন্দর সিকদার
শনিবার ● ৬ এপ্রিল ২০২৪


শ্যাম সুন্দর শিকদার

সৃজনশীল লেখনীর জন্য ICALDRC Linguistics Unit of Dhaka University কবি শ্যাম সুন্দর সিকদারকে “আন্তর্জাতিক সৃজনকলা পুরষ্কার ২০২৪” প্রদান করেছে । ৩০ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি  মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত Discussion on “Impact of Language & Literature on Enriching Minds and Inspiring Lives & The International Creative Arts Award-2024 Giving Ceremony “. অনুষ্ঠানে এই পদক ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.সৌমিত্র শেখর ডি.লিট , বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউ,এস,এ এর অধ্যাপক ড. নেছার ইউ আহমেদ( Fulbright scholar, US Public Diplomacy), বাংলাদেশের মাটির সুরের সম্রাট আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পী মুজীব পরদেশী, বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডি আই জি লেখক শামীমা বেগম এবং The International Creative Arts Language & Development Research Centre ( ICALDRC) এর মহাসচিব অধ্যাপক লুৎফর রহমান জয়।

অনুষ্ঠানেটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড: আসাদুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ICALDRC ভাষাতত্ব ইউনিট বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা, সাহিত্য প্রকাশনা, পরিবেশনা শিল্প, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জীবনঘনিষ্ঠ নন্দনশৈলীকে প্রত্যায়ন করে সৃজনশীলতার এই পদক ও সম্মাননা প্রদান করেছে।

শ্যামসুন্দরের কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে। এরপর ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৬ সালে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন এবং মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন । এছাড়া সরকারের গুরূত্বপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৪ সাল হতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ২০১৭ সাল হতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে যথাক্রমে সচিব ও সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । তিনি ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে চাকুরী হতে অবসরে যান ।অতঃপর পুনরায় ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ হতে সিনিয়র সচিবের পদ মর্যাদায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে কর্মরত আছেন।

সাহিত্যকর্ম : কাব্যগ্রন্থ : ১.জলে জলে সমুদ্র; ২.অনাহারী অতিথি কাক; ৩.অন্তরে অন্তর টানে নিরন্তর; ৪.হৃদয়ে হৃদয়ে যুদ্ধ; ৫.ভালোবাসার বেহুলা; ৬.মেঘে মেঘে বিজলির চমক; ৭.নির্বাচিত ১০০ কবিতা; ৮.গোলাপের কাছে যাব; ৯.নীল খামে ডিজিটাল ভালোবাসা; ১০.আঁচলে এঁকে দেবো মানচিত্র; ১১.কবিতার মুক্ত সিঁড়িতে; ১২.ঘাসের কার্পেটে মন; ১৩.ছুঁয়ে দেখি অন্তরঙ্গতায়; ১৪.রক্তের ভিতর অহর্নিশ প্রার্থনাদ(তিন কবির কবিতা); ১৫.দেশপ্রেম ও মানবতার কবিতা; ১৬.সুখের সঙ্গে কানামাছি খেলা (কলকাতা থেকে প্রকাশিত); ১৭.দৃষ্টির ভেতর ঘুমের শরীর; ১৮. পথের সমান দূরে আছি , ১৯. স্বাধীন জলের কিনারে , ২০. অনঙ্গের স্পর্শ , ২১. নীল রঙের সাহস , ২২. কবিতায় বঙ্গবন্ধু, ২৩. নির্মাণে রেখেছি যুদ্ধের হাত ২৪. যুদ্ধ আসে যুদ্ধ যায়, ২৫. সুখে থেকো ভালো থেকো, ২৬. কথা কণিকা(Tiny Words), ২৭. চন্দ্রাবতী কাব্য, ২৮. জন্ম আমার পাপ নয়, ২৯. দুঃসময়ের নষ্টকাব্য, ৩০. কলিজায় পোড়া দাগ.।

প্রবন্ধঃ ১.মা মাটি মানুষ ও সমকালীন প্রসঙ্গ; ২.ডিজিটাল বাংলাদেশ: রূপকল্পের অন্তরূপ ; ৩.প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি; ৪. বিচিত্রতা মুক্তিযুদ্ধঃ ১.একাত্তরের জীবন ও যুদ্ধ । গল্পঃ ১.ভালোবাসার নির্বাসন ; ২.অনিবাসী মানুষের দেশে; ভ্রমণঃ ১.জাপান : ভূমিকম্পের সঙ্গে সহাবস্থান; ২.বঙ্গবন্ধুস্যাটেলাইট দেখা এবং ৩. নীলনদের দেশে । ছড়াঃ ১.ইচ্ছে ডানা; ২.ইচ্ছের হাত দাও ছুঁয়ে; ৩.চাঁদ তারা মেঘ। ৪. মজার ছড়া, ৫. দেশের ছড়ায় পরান জুড়া শিক্ষামূলক গ্রন্থঃ ১.শিশু কিশোরদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সতর্কতা ।

আত্মজীবনীঃ ১. জীবনের কথা বলি এবার, সম্পাদনা ও গবেষণাঃ ১.রাঙ্গামাটি: বৈচিত্রের ঐক্যতান (যৌথ সম্পাদনা); ২.বিসিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ (যৌথ গবেষণা); ৩.শরিয়তপুরের ইতিবৃত্ত (যৌথ সম্পাদনা); ৪.বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণঃ রাজনীতির মহাকাব্য (যৌথ সম্পাদনা); ৫.নীল জল অরণ্য (পার্বত্য চট্টগাম অর্থাৎ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ওপর গবেষণা গ্রন্থ)। ৬. আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীতসাধক দিলীপকুমার রায় ৭. কবিতায় বঙ্গবন্ধু (৩০৩ কবির নিবেদত কবিতা সম্পাদনা), ৮. আমাদের বঙ্গবন্ধু (বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণা গ্রন্থ), ৯. জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধু: নির্বাচিত ভাষণ , ১০. স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল(সম্পাদনা), ১১. বঙ্গবন্ধু ও আগরতলা মামলা: ইতিহাসের নতুন গতিপথ।

পুরস্কার / সম্মাননাঃ ১. নির্ণয় শিল্পী গোষ্ঠী, ফরিদপুরঃ নির্ণয় স্বর্ণ পদক ২০১৩-২০১৪ ২. সূফী মোতাহার হোসেন পরিষদ, ফরিদপুরঃ সূফী মোতাহার হোসেন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩-২০১৪ ৩. পদক্ষেপ বাংলাদেশ, ঢাকাঃ পদক্ষেপ পুরস্কার ২০১৫ ৪. বাউল তরী ( লোকজশিল্প-সংস্কৃতি সংগঠন)ঃ বাউল তরী পদক ২০১৮ ৫. কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ, ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধের কবিতা সম্মাননা ২০১৮।

কর্মজীবন
সিকদার ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন ।

সিকদার ২০১৩ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তিনি এর আগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।  তিনি একজন জনপ্রিয় কবি ও সুলেখক ।

২০১৪ সালে, সিকদার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব নিযুক্ত হন ।  পরে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নিযুক্ত হন ।তিনি বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তত্ত্বাবধান করেন ।তিনি সারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৫০০ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা দেখেছেন ।  তিনি ২০১৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটির নেতৃত্ব দেন।

সিকদার ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সিনিয়র সচিব হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন।  ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে, তিনি তিন বছরের মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।  তিনি মোঃ জহুরুল হকের স্থলাভিষিক্ত হন ।সৈয়দ দিলজার হোসেন সিকদারের অধীনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার নিযুক্ত হন।

তিনি দক্ষিণ এশীয় টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটর কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন । বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন সিকদারের অধীনে আট হাজার সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্ক সরিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৫:৪০ ● ১৯২ বার পঠিত