রবিবার ● ১২ নভেম্বর ২০২৩
মারুফ মোহাম্মদ-এর কবিতা সুখ-সরোবরে ব্যাঙাচির বাসা
Home Page » সাহিত্য » মারুফ মোহাম্মদ-এর কবিতা সুখ-সরোবরে ব্যাঙাচির বাসাখুব বেশি কিছু নয়…
এক চিলতে সুখের অনন্ত বাসনায়
দূর থেকে দূরে, বহুদূরে আরও দূরে হেঁটে চলেছি আমি
ঠিকানা বিহীন পথে, নগ্ন পায়ে দূর্বাঘাস মাড়িয়ে মাড়িয়ে
অগনিত উঁচু নিচু চড়াই উতরাই ডিঙে
রোদ কিংবা ঝড় অথবা বৃষ্টিতে ভিজে
আমি হাঁটছি তো হাঁটছিই…
দেখি, পাহাড়ের বুক জুড়ে জ্বালাময়ী লাভা
আকাশের বুকে বিরহিনী মেঘ
নদীর জলে ব্যথার ঢেউ
তবু হাঁটছি তো হাঁটছিই……
পাথেয় বলতে-
কাঙ্কের কলসি ভরা নির্মলা জলের মতো
এক চিলতে সুখের অদম্য বাসনা
যদিও আমার আদৌ জানা নেই
কত দিবস রজনী, কত ধী-পর্বত তপস্যায়
মিলবে এক চিলতে সুখ!
তবু আমি হাঁটছি তো হাঁটছিই……
হঠাৎ কি মনে করে..
দুনিয়া কাঁপিয়ে এলো এক ঝড়
প্রলয়ঙ্কারী বাতাস আর বৃষ্টির দাপটে
যখন এ চোখ মেলা দায়, ঠিক; হ্যা ঠিক তখনি দেখি
পুরাতন একটি বৃক্ষের ছোট্ট কঠুরিতে নীল দুটি পাখি
নিতান্তই ছোট্ট সে কুঠুরি!
একসাথে আশ্রয় মেলে না বিধায়
পালাক্রমে গা ঝেড়ে ঝেড়ে ভিজচ্ছে দুজন!
আহা, কি মহান আত্মত্যাগে নিবিষ্ট দু’টি ঠোঁট!
সামান্য সোনালি দুটি ঠোঁটের কী বিস্ময়কর বিজয়াহবান!
সত্যি বলতে কী-
এত দিনে, এই প্রথম আমার জন্মান্ধ চোখের কোণে
স্পষ্ট হলো ঐ আকাশের ঠিকানা
অজানা এক টানে কেঁপে উঠলো ধমনি
শিরা উপশিরায় খেলে গেল শান্তির ঢেউ
তবে কি আমার এই মন
নিজেই একটা সুখের চারণ?
ছুটে এলাম নিজ ভূমের নিজ গৃহে
প্রাণপণে ঊর্ধ্বশ্বাসে
কিন্তু হায়! হেলায় হেলায় বেলা বহুদূর
মৃত্যু ছাড়া এই তল্লাটে কেউ যে আর নেই অপেক্ষায়!
ছানি পড়া চোখে দেখি
সুখ-সরোবরে ব্যাঙাচির বাসা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১১:৪৩ ● ২৪৭ বার পঠিত