সোমবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৩

পি কে হালদারের দুর্নীতির নেপথ্যের ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

Home Page » প্রথমপাতা » পি কে হালদারের দুর্নীতির নেপথ্যের ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে
সোমবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৩


পি কে হালদারের দুর্নীতির নেপথ্যের ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে
 বঙ্গ-নিউজঃ    অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দণ্ডিত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের দুর্নীতির পেছনে যাদের হাত, তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁর ক্ষমতার উৎস ছিল এক অদৃশ্য শক্তি। ওই শক্তির ছত্রছায়ায় ছিলেন পি কে হালদার।
তাদের নির্দেশেই তিনি গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ থেকে রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব নেন। সেখান থেকে তিনি পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এবং এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের যাবতীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন।

পি কে হালদারের নির্দেশ ছাড়া ওই চার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো কাজ হতো না। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান, ভুয়া কাগজপত্র ও জামানত ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয় হাজার হাজার কোটি টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পি কে হালদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও তাঁর পেছনের শক্তিকে এখন পর্যন্ত খুঁজে বের করতে পারেনি। এ ব্যাপারে দুদকের একটি সূত্র জানায়, দৃশ্যমান রেকর্ডপত্র না থাকার কারণে অন্য কাউকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না।
অভিযোগ রয়েছে, জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের যাবতীয় ঘটনা জায়েজ করতে পি কে হালদার হাত করেছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তাকে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য দেন। পি কে হালদার তাঁর দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে রাশেদুল হককে ওই প্রতিষ্ঠানের এমডি করেছিলেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযুক্ত ওই দুই কর্মকর্তা হলেন– ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এস কে সুর) ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস কবির, এবিএম মোবারক হোসেন, উপপরিচালক মো. হামিদুল আলম ও সহকারী পরিচালক মো. কাদের রয়েছেন দুদকের সন্দেহের তালিকায়। দুদক পর্যায়ক্রমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

আরও যাদের নাম

পি কে হালদারের দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে এসেছে আরও অনেকের নাম। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন– পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী। তিনি পি কে হালদারের উপদেষ্টা ছিলেন। এর বিনিময়ে তাঁকে মাসিক ৫ লাখ টাকা বেতন দেওয়া হতো। পরে উজ্জ্বল কুমার নন্দী পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান হন। চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট মো. জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন পি কে হালদারের ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনি ছিলেন এফএএস ফাইন্যান্সের ভাইস চেয়ারম্যান। মো. সিদ্দিকুর রহমান ছিলেন পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এফএএস ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান। এই তালিকায় রয়েছেন পি কে হালদারের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী। পিপলস লিজিংয়ের পরিচালক ছিলেন তিনি।

দুদকের ৫২টি মামলায় পি কে হালদারসহ ৭৫ জনকে আসামি ও ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে বিশেষ টিমের সদস্যরা এসব মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৮:৪২ ● ১৯০ বার পঠিত