বুধবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজপথে আ’লীগ বিএনপি ‘ফয়সালা’র লড়াইয়ে
Home Page » প্রথমপাতা » রাজপথে আ’লীগ বিএনপি ‘ফয়সালা’র লড়াইয়ে
বঙ্গ-নিউজঃ ঘনীভূত হচ্ছে চলমান রাজনৈতিক সংকট। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি। নির্বাচনের আর মাত্র সাড়ে তিন মাস বাকি থাকলেও স্ব-স্ব অবস্থানেই ‘অনড়’ তারা। কেউ কাউকে একবিন্দুও ‘ছাড়’ দিতে নারাজ। রাজপথেই ‘শক্তি পরীক্ষায়’ লিপ্ত হয়ে জয়ী হতে চায় দল দুটি।
নিজেদের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগেই রাজপথে ‘ফয়সালা’ করতে চায় বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের ‘চূড়ান্ত কর্মসূচি’ ঘোষণা দিয়ে সমমনাদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নেমেছে তারা। লক্ষ্য অর্জনে সোমবার টানা ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।
অন্যদিকে, আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা, জ্বালাও-পোড়াও বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলা করতে পরের দিন গতকাল মঙ্গলবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের নামে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মিত্রদের নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা করেছে তারা।
এ পরিস্থিতিতে রাজপথে সংঘাত ও সহিংসতার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। জনমনেও দেখা নিয়েছে নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সবার মনেই একই প্রশ্ন– কী হবে অক্টোবর ও নভেম্বরে?
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচিতে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক নিজের প্রত্যাশার কথাই শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকারি ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে জনমনে কিছুটা হলেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে– এটা ঠিক। তবে এ দেশের মানুষ তো আসলে নির্বাচনমুখী। ফলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সবাই নির্বাচনের দিকেই ঝুঁকে পড়বে বলে ধারণা করা যায়। তখন আর এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকবে না।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠছে।
সংঘাত-সহিংসতার মধ্যেও যদি একতরফা নির্বাচন বন্ধ করা না যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। দীর্ঘমেয়াদি বিরোধের সূচনা হবে। দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাবে। আমরা আশা করব, জনমনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিরসনে আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন এবং ভয়ানক পথ থেকে বিরত থাকবেন।
এবার ‘পিছু হটবে না’ বিএনপি
বিএনপি সূত্র জানায়, এবার কোনো হামলা-মামলা ও বাধাবিঘ্নে আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ওই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথ দখলে নিয়ে সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করবেন। সে ক্ষেত্রে গণভবন, সচিবালয়, নির্বাচন কমিশন, সর্বোপরি ঢাকা ঘেরাও এবং হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন তারা।
সূত্র জানায়, আগামী অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসকেই দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে টার্গেট করছেন। তারা ব্যাপক জনসমাগমের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাবেন। সরকার যদি তা না করে দমনপীড়নের পথে হাঁটে, এবার বিএনপিও পিছু হটবে না। আন্দোলনের কর্মসূচিতে বাধা এলে তা প্রতিহত করতে যা যা করার, তা-ই করার প্রস্তুতি থাকবে তাদের। এ ক্ষেত্রে বিদেশি চাপ আরও বাড়বে বলে আশা করছে দলটি। পাশাপাশি তৃণমূল বিএনপি বা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মতো কিংস পার্টিতে চাপ দিয়ে বিএনপি নেতাদের নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা মোকাবিলা করার প্রস্তুতি রয়েছে দলটির। একই সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে সর্বাধিক দলকে ধরে রাখার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকেও কাছে টানার চেষ্টা করবে বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের গতি বাড়তেই থাকবে। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা আন্দোলন শুরু করেছেন। এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার আন্দোলন প্রতিহত করার যেমন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তেমনি আমরাও হামলা-মামলা ও বাধাবিঘ্ন মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমাদের এই গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সঙ্গে দেশের পাশাপাশি সারাবিশ্বের মানুষের সমর্থন রয়েছে। এবার সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করতে যত ধরনের কর্মসূচি প্রয়োজন, তারা তা দেবেন।
বিএনপি নেতারা জানান, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়– বিষয়টি সবার জানা। ভোট কারচুপির মাধ্যমে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে পারলে যারা লুটপাট, মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি করতে পারবেন, শুধু তারাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনকে সমর্থন করছেন। ইতোমধ্যে দেশের ভেতর-বাইরে থেকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। এ বিষয়ে উন্নয়ন অংশীদার বিদেশিরাও বিভিন্নভাবে সরকারকে বার্তা দিচ্ছেন। জনবিচ্ছিন্ন সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে চাইছে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলছে। এবার দাবি আদায়ে যে ধরনের কর্মসূচি প্রয়োজন, তা দেওয়া হবে। কোনো মামলা-হামলায় কাজ হবে না।
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পাঁচটি রোডমার্চসহ টানা ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু করে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ রয়েছে, নারীদের জন্য মহিলা সমাবেশ এবং পৃথকভাবে কৃষক ও শ্রমিক সমাবেশও রয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে গতকাল ঢাকা জেলার জিনজিরা অথবা কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কাল বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট পর্যন্ত রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শুক্রবার ঢাকা মহানগরে দুটি সমাবেশ হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে উত্তরায় এবং দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে যাত্রাবাড়ীতে এ সমাবেশ হবে। একই দিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাদ জুমা সারাদেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যন্ত দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী শনিবার বরিশাল থেকে শুরু হয়ে ঝালকাঠি, পিরোজপুর হয়ে পটুয়াখালী পর্যন্ত রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে পৃথক দুটি সমাবেশ করবে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আমিনবাজর এবং দক্ষিণে নয়াবাজারে এ সমাবেশ হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের গাবতলীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঢাকায় মহিলা সমাবেশ হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন। ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ এলাকায় রোডমার্চ হবে। ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ। ৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে ফেনী, মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কর্মসূচিতে দলের সিনিয়র নেতাসহ দলের সব পর্যায়ের নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচির বাইরে বিভিন্ন পেশাজীবী, বিশেষ করে আইনজীবীদের ভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার কৌশল রয়েছে।
রাজপথ দখলে রাখার অঙ্গীকার আ’লীগের
বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণার পরদিনই গতকাল মঙ্গলবার দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর জরুরি যৌথ সভা করে সমাবেশসহ সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই যৌথ সভা থেকে আবারও আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ দখলে রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন নেতারা।
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এ দেশের জনগণ বিএনপি নামের সন্ত্রাসী দলটির পূর্বের ‘খাসলত’ জানে। বিএনপি যে আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা এবং জনগণের জানমাল ধ্বংস করার মতো অপকর্মগুলোই করে আসছে, সেটাও মানুষ জানে। আর এগুলো যখন ঘটে, তখন গণমানুষের দল হিসেবে ও গণমানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আওয়ামী লীগ তো চুপচাপ বসে থাকতে পারে না। গণমানুষের প্রতি সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আসলে আওয়ামী লীগ কর্মসূচিগুলো দিচ্ছে। বিএনপি যেন কোনো ধরনের নির্বাচনবিরোধী বা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড করতে না পারে, তার জন্য আওয়ামী লীগ ‘দেশ ও মানুষের পাহারাদার’ হিসেবে রাজপথে দায়িত্ব পালন করবে।
দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে আগামী অক্টোবর মাসকে দেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থা ও নির্বাচন পরিস্থিতির জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন তারা। কেননা, নভেম্বরে আগামী নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে বিএনপি আন্দোলন জোরদারের শেষ প্রচেষ্টা চালাবে বলেই মনে হচ্ছে। ফলে অক্টোবরের শুরু থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীরা ব্যাপক সহিংস অবস্থান নিয়ে মাঠে নামতে পারেন। এ অবস্থায় সরকারবিরোধীদের সম্ভাব্য নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তাদের আর কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। এই কারণে আওয়ামী লীগও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষাসহ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সামনের দিনগুলোতে মাঠের অবস্থান আরও জোরদার করবে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এমন অবস্থান অব্যাহত রাখবে তারা, যাতে বিএনপি আন্দোলন ও নির্বাচনে কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে না পারে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে রয়েছে– আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সমাবেশ, ২৫ সেপ্টেম্বর মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীতে সমাবেশ, ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেরানীগঞ্জে সমাবেশ, ২৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে টঙ্গীতে সমাবেশ ও একই দিন ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে মিরপুরের কাফরুলে সমাবেশ, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিনের কর্মসূচি এবং একই দিন বাদ আসর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও একই সময়ে সারাদেশে একই কর্মসূচি, ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও একই সঙ্গে সারাদেশে আলোচনা সভা এবং ৩০ সেপ্টেম্বর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে কৃষক হত্যা স্মরণে কৃষক লীগের আয়োজনে কৃষক সমাবেশ। এ ছাড়া আগামী ৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। সব সমাবেশ দুপুর আড়াইটায় এবং আলোচনা সভা বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এসব কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনের নামে কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে জনগণ ও সরকার কঠোর হাতে দমন করবে। চলতি মাসে ঢাকায় বিএনপির আটটি সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আমরা আগেও বলেছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক কর্মসূচি থাকবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এক দফা ও সরকার পতন আন্দোলনের নামে আগামী নির্বাচন বানচাল করাটাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে দেশজুড়ে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সোমবার নতুন করে যে ১৫ দিনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতার অংশ। বরং বিএনপি আগামী দিনে আরও বেশি মাত্রায় সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথে এগোচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৬:২৯ ● ১৫৯ বার পঠিত