মঙ্গলবার ● ১৮ জুলাই ২০২৩

আফগানিস্তানকে ২১ রানে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

Home Page » ক্রিকেট » আফগানিস্তানকে ২১ রানে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
মঙ্গলবার ● ১৮ জুলাই ২০২৩


মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যটিং ঝড়

বঙ্গ-নিউজ: ইমার্জিং এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ আফগানিস্তান ‘এ’ দলের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’। জিতলে সেমিফাইনাল, হারলে বিদায়। ‘নকআউটে’ নেমে আসা ম্যাচটি জিতেই সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে ২১ রানে হারিয়েছে সাইফ হাসানের দল।

শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জেতে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরকার্ডে ৩০৮ রান জমা করে বাংলাদেশ। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস। দুটি ক্যাচ ও সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়।

দলীয় ৩৪ রানের মাথায় বাংলাদেশ তিন উইকেট হারালে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন জয়। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ আউট হন ১৮ রান করে। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে জাকির হাসানের সঙ্গে ১১৭ রানের জুটি গড়েন জয়। ব্যক্তিগত ৬২ রান করে ইনিংসের ২৮তম ওভারে আউট হয়ে যান জাকির।

এক প্রান্ত আগলে রাখেন জয়। এবার সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। এই জুটিতে ওঠে ৭৯ রান। ৪২ বলে ৪৮ রান করে আউট হন সৌম্য। ততক্ষণে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান জয়। ৪৬তম ওভারে শরফুদ্দিন আশরাফকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ১১৩ বলে করেন ১০০ রান। শতক পাওয়ার পর অবশ্য টিকতে পারেননি তিনি। মোহাম্মদ সালিমের করা ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সেই মিড উইকেটেই রিয়াজ হাসানের হাতে ধরা পড়েন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটার। ইনিংসে ২ ছক্কার সঙ্গে বাউন্ডারি মেরেছেন ১২টি।

জয়ের শতকের ওপর ভর করে ৩০৬ রান করেছে বাংলাদেশ। শেষ দিকে শেখ মাহেদি হাসানের ১৯ বলে ৩৬ রানের ক্যামিওতে তিনশ ছাড়ানো ইনিংস গড়তে সক্ষম হয় সাইফ হাসানের দল। ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন মাহেদি। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান করেছেন ১৫ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন সালিম।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তান। দলীয় ২৬ রানের মাথায় জুবাইদ আকবরকে আউট করে ফেরান রাকিবুল। দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। নূর আল জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে ৯০ রানের জুটি গড়েন রিয়াজ। দলীয় ১১৬ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার তানজিম হাসান সাকিব। ব্যক্তিগত ৪৪ রানে আউট হন নূর।

একপ্রান্তে উইকেট আগলে রেখে রিয়াজ করেন ৭৮ রান। তার সঙ্গে দুটি ফিফটিছোঁয়া ইনিংস (৪৪ রান) খেলেন নূর ও অধিনায়ক শহিদুল্লাহ। ততক্ষণে আফগানরা আস্কিং রানরেট থেকে পিছিয়ে পড়ে অনেকটা। তার কৃতিত্ব অবশ্যই বাংলাদেশি দুই স্পিনারের। রাকিবুলের বাঁহাতি স্পিনের সঙ্গে মাহেদির অফস্পিনে দিশেহারা হয়ে পড়ে আফগানিস্তান। রাকিবুল ১০ ওভারে ৩০ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট। মাহেদি উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে দিয়েছেন মোটে ৩৩ রান।

দুই স্পিনারের বোলিংয়ের ঘাটতি পুষিয়ে আর উঠতে পারেনি আফগানিস্তান। শেষ দিকে ৫০ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থেকে হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন বাহির শাহ। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সাকিব পেয়েছেন তিন উইকেট। রাকিবের মতো দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন মিডিয়াম পেসার সৌম্য। একটি উইকেট শিকার করেছেন রিপন মন্ডল।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৬:১৭ ● ২০২ বার পঠিত