বুধবার ● ১৪ জুন ২০২৩
বৃষ্টিপাতে জলময় হবে শুকনো হাওর
Home Page » কৃষি » বৃষ্টিপাতে জলময় হবে শুকনো হাওরসাজেদা আহমেদ,জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক প্রতিনিধি, বঙ্গনিউজ: সুনামগঞ্জের হাওর ও জলাশয়গুলো এখনো শুকনো অবস্থায় রয়েছে। অন্যান্য বছরের এ সময়টাতে জেলার নদ-নদী ও হাওরগুলো পানিতে টুইটুম্বুর থাকতো। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ষড়ঋতুর এ দেশের ঋতুচক্র নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছে। বেড়েছে প্রাকৃতিক দূর্যোগ- দুর্বিপাক।
অবশ্য হাওরে পানি না আসার বিষয়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অনাবৃষ্টিকে কারন হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
গত সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক এক সেমিনারে জানানো হয় আগামী ১০ দিন সীমান্তবর্তী এই জেলা ও সীমান্তের ওপারের মেঘালয়ে টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে।
তবে এই বৃষ্টিপাতের পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এই জেলায়। হাওর গুলো শুকনো থাকায় সহজেই বৃষ্টির পানি সেখানে চলে যাবে। জেলার ১২ উপজেলার মধ্যে বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদরে বৃষ্টি বেশি হবে।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক, জলবায়ু শাখার প্রধান সাঈদ আহমেদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।
সেমিনারের প্রধান আলোচক আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাংলাদেশকে দুর্যোগের সুপার মার্কেট বলা যায়। আগামী ৫ বছরে ১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। সুনামগঞ্জে প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। হাওরে যখন কৃষক কাজ করেন তখনই এই ঘটনা বেশি ঘটে। আবহাওয়া খারাপ হলে কৃষকদের দ্রুত নিরাপদ জায়গায় আসতে হবে। এজন্য হাওরে স্থানীয় প্রশাসনকে শেল্টার ছাউনি নির্মাণ করার প্রস্তাব দেন তিনি।
তিনি বলেন, ১০ মিলিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হলে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলি মিটারকে মাঝারি, ২২ থেকে ৪৩ মিলি মিটারকে মাঝারি ধরণের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলি মিটারকে ভারী বৃষ্টিপাত ও ৮৮ মিলি মিটারের বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাতকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত বলা হয়ে থাকে।
#
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৯:৫৪ ● ৪২১ বার পঠিত