মঙ্গলবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

১০০ বছরেও মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে পুনর্মিলন সম্ভব নয়:ডেনিস শ্যামিহাল

Home Page » জাতীয় » ১০০ বছরেও মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে পুনর্মিলন সম্ভব নয়:ডেনিস শ্যামিহাল
মঙ্গলবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩


ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল

বঙ্গ-নিউজ: বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে আগামী শতাব্দী তথা ১০০ বছরেও মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে পুনর্মিলন সম্ভব নয়। জার্মানির সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ফোকাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। খবর আনাদোলু।

তিনি বলেন, দুই দেশের মিলন বা সহযোগিতা কোনোটাই আগামী একশ বছরেও সম্ভব হবে না। এটি করতে হলে রাশিয়াকে ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তাদের গণতন্ত্রীকরণ করতে হবে, নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে এবং পরমাণু অস্ত্র থেকে মুক্ত হতে হবে।

এ সময় রাশিয়াকে কীভাবে নিরস্ত্র করা সম্ভব- এমন প্রশ্নের উত্তরে শ্যামিহাল বলেন, রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা, সহযোগিতা হ্রাস, সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তার মাধ্যমেই এটি সম্ভব।

শ্যামিহাল এ সময় আরও বলেন, শুধু রক্তপাত বন্ধ করার জন্য মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সংঘাত স্থগিত করার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এতে রাশিয়ার হাতে কর্তৃত্ব রয়ে যাবে এবং পুরো বিষয়টি আরেকটি বড় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে।

রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের কোনো অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু- জিজ্ঞাসা করা হলে শ্যামিহাল বলেন, আমাদের সমাজ, ঐতিহ্য এর অনুমতি দেবে না। এ লড়াইয়ে আমাদের হাজার হাজার সেরা মানুষ মারা গেছেন। যারা পুরো বিশ্বকে ব্ল্যকমেইল করছে, তাদের মতো সন্ত্রাসী ও আগ্রাসীদের সঙ্গে সমাঝোতা করার জন্য তারা প্রাণ দেননি। আমি মনে করি সীমান্ত পরিবর্তন করার বিষয়টি ইউরোপও মেনে নেবে না।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার একটিই পথ রয়েছে। আর সেটি হলো- ১৯৯১ সালের সীমানার মধ্যে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ান সৈন্যদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ানদের অবশ্যই গুলি করা বন্ধ করতে হবে, আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের এলাকা ছেড়ে যেতে হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ইউক্রেনের সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে শ্যামিহাল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এটি (ইইউ সদস্যপদ) একটি উচ্চাভিলাষী কিন্তু বাস্তবসম্মত লক্ষ্য। আমরা আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে আমরা ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর ঐকমত্য পাব।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর চার দিন পর ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কিয়েভ আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করে। ইউরোপীয় কমিশন ১৭ জুন ইউক্রেনের ইইউ সদস্যতার আবেদনের বিষয়ে তার মতামত জারি করে। পরবর্তীতে ইউরোপীয় কাউন্সিল কিয়েভকে প্রার্থীর মর্যাদা দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৩:১১ ● ৩৫৪ বার পঠিত