বৃহস্পতিবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

হাইকোর্টের আদেশে ম্যুরাল থেকে সরানো হল বিতর্কিত এমপি মোয়াজ্জেম ও তার ভাইয়ের প্রতিকৃতি

Home Page » জাতীয় » হাইকোর্টের আদেশে ম্যুরাল থেকে সরানো হল বিতর্কিত এমপি মোয়াজ্জেম ও তার ভাইয়ের প্রতিকৃতি
বৃহস্পতিবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০২৩


ম্যুরাল থেকে সরানো হল বিতর্কিত এমপি মোয়াজ্জেম ও তা ভাইয়ের প্রতিকৃতি

হাওরাঞ্চল ব্যুরো চীফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সদরে উপজেলা প্রশাসনের অস্থায়ী কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরাল থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ছবি সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।বুধবার দুপুর ২ টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসন ও মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে ওই ছবি দুটি সরিয়ে দেয়। এলজিইডির ধর্মপাশা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার প্রশাসনিক ভবনের প্রস্তাবিত স্থানে ‘মধ্যনগরে ব্রীজ সংলগ্ন আইল্যান্ড নির্মাণে’র জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ থেকে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কোটেশনের মাধ্যমে কাজটি পায় মেসার্স রানা ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।আইল্যান্ড নির্মাণের নামে সেখানে নির্মাণ করা হয় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর একটি ম্যুরাল।সেই ম্যুরালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও তার সহোদর ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়।
গত বছরের ১নভেম্বর মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদা আহমেদ সরকারী টাকায় নির্মানাধীন ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের প্রতিকৃতি স্থাপনকে দৃষ্টতা প্রর্দশন আখ্যায়িত করে তাদের প্রতিকৃতি অপসারনের জন্য মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি দেন।
পরদিন ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ম্যুরাল নির্মাণকারী ঠিকাদারকে অনুমতি ছাড়াই সেখানে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ভাইয়ের প্রতিকৃতি যুক্ত করায় কারন দর্শানোর জন্য চিঠি দেন।এরপর ৪ নভেম্বর মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ম্যুরালের ডিজাইন পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের ছবি স্থাপনকে দৃষ্টতা প্রর্দশন আখ্যায়িত করে এর প্রতিবাদ জানায়। এর দুইদিন পর ৬ নভেম্বর একই দাবীতে মধ্যনগর উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে।পরে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করে মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদা আহমেদ। রিট পিটিশন আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ৮ জানুয়ারি ৭ দিনের মধ্যে ওই ম্যুরাল থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ছবি অপসারণের নির্দেশ প্রদান করে। সেই সাথে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিট পিটিশনকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদা আহমেদ বলেন, জাতির পিতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরাল থেকে বির্তকিত সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ছবি অপসারনের নির্দেশ প্রদান করায় হাইকোর্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং এই অভিযান পরিচালনা করায় প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানাই।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন,মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ম্যুরাল থেকে ছবি দুটি সরিয়ে দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২:১০:৩৯ ● ৪৪৪ বার পঠিত