১০ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে না মঞ্জুর হত্যার রায়

Home Page » জাতীয় » ১০ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে না মঞ্জুর হত্যার রায়
মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৪



monjur.jpg

রাসেদুল হাসান লিটন(বঙ্গ-নিউজ)ঃবিচারক বদলি হওয়ায় ৩৩ বছর আগের আলোচিত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় ১০ ফেব্রুয়ারি দেয়ার কথা থাকলেও, তা আবারো পিছিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নতুন বিচারক আসায় এই মামলার যুক্তি-তর্ক শুনানি নতুন করে হবে বলে জানিয়েছেন এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান খান রচি।এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, যিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।

দফায় দফায় পিছিয়ে যাওয়া এ মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে গত ২২ জানুয়ারি প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার রায়ের দিন ঠিক করেছিলেন।

সেদিন মন্ত্রীর প্রটোকল নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। মামলার বাকি চার আসামির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত মেজর কাজী এমদাদুল হক ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়াও আদালতে ছিলেন।

রায়ের তারিখ ঠিক করার এক সপ্তাহ পর গত ২৯ জানুয়ারি প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরার বদলির আদেশ আসে। তার জায়গায় নতুন বিচারক হিসাবে যোগ দিয়েছেন খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ।

আসাদুজ্জামান রচি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাধারণত বিচারক পরিবর্তন হলে কোনো মামলার রায় দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তি-তর্ক শুনানি আবার হয়। তারপরই নতুন বিচারক রায় দেন।”

মঞ্জুর হত্যা মামলায় এরশাদসহ পাঁচ আসামিই উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। বাকি দুই আসামি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল লতিফ ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রমে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে।

১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। ওই ঘটনার পর পুলিশের হাতে আটক হন জেনারেল মঞ্জুর। পুলিশ হেফাজত থেকে ১ জুন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নেয়ার পর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এর ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মঞ্জুরের ভাই। ওই বছরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তখনকার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অভিযোগপত্র দেন এবং বিচার শুরু করে আদালত।
তবে সরকার বদল এবং দফায় দফায় রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনে মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে আসতে লেগে যায় আরো ১৮ বছর।

মামলার শুনানির সময় আত্মপক্ষ সমর্থনে এরশাদ বলেন, জেনারেল মঞ্জুরকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দেয়ার জন্য তৎকালীন সরকার রেডিও টিভিতে ৫ লাখ টাকা ঘোষণা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

“ধরা পড়ার পর মেজর মঞ্জুরকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আনার পথে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পরে নিরাপত্তা প্রহরীর সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে আবুল মঞ্জুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।”

তখনকার স্বরাষ্ট্র সচিব মাহবুবুজ্জামান এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, তখনকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নির্দেশে পুলিশ আবুল মঞ্জুরকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৬:৫১   ৪৩০ বার পঠিত  




জাতীয়’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ