বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ আজ ২৪ জানুয়ারি, ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস। ১৯৬৯ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানের স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ছয় দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান।এ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে প্রধান আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত হয় সর্বস্তরের মানুষ। বকশীবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউশনে শহীদ মতিউরের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।
এছাড়াও বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতার মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের তাত্পর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ঊনসত্তরের ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৬৯ সালের এই দিনে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, “সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ আধুনিক গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, “আজ ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ঊনসত্তরের এই দিনেই পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের পতনের ঘণ্টা বেজেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ। দেশের বর্তমান স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে এই দিনের চেতনায় আমাদের সবাইকে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এতে স্বাধীকার আন্দোলনের গতি তীব্র হলে পাকিস্তানি শাসকরা একে নস্যাৎ করতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে।
মামলার প্রধান আসামি বঙ্গবন্ধুসহ অন্যদের মুক্তি ও পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে সাধারণ জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান।। ১৯৬৯ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানের স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ছয় দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান।এ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে প্রধান আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত হয় সর্বস্তরের মানুষ। বকশীবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউশনে শহীদ মতিউরের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।
এছাড়াও বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতার মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের তাত্পর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ঊনসত্তরের ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৬৯ সালের এই দিনে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, “সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ আধুনিক গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, “আজ ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ঊনসত্তরের এই দিনেই পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের পতনের ঘণ্টা বেজেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ। দেশের বর্তমান স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে এই দিনের চেতনায় আমাদের সবাইকে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এতে স্বাধীকার আন্দোলনের গতি তীব্র হলে পাকিস্তানি শাসকরা একে নস্যাৎ করতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে।
মামলার প্রধান আসামি বঙ্গবন্ধুসহ অন্যদের মুক্তি ও পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে সাধারণ জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৭:২৮ ৫১০ বার পঠিত