মাহবুব-মিলন রিমান্ডে, সেলিমা কারাগারে, বোমাবাজির মামলায়

Home Page » প্রথমপাতা » মাহবুব-মিলন রিমান্ডে, সেলিমা কারাগারে, বোমাবাজির মামলায়
বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৪



selima-bnp.jpgবঙ্গ-নিউজঃ বোমাবাজির মামলায় বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
বিএনপি চেয়াপারসনের এই উপদেষ্টার সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনকেও বুধবার দুদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

মঙ্গলবার আটক এই দুজনের পাশাপাশি বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন সেলিমা রহমানকে হেফাজতে চাইলেও তাতে সায় দেননি মহানগর হাকিম আমিনুল হক।

তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কারা ফটকে তা করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি সমর্থক কয়েকশ’ আইনজীবীর বিক্ষোভের মধ্যে শুনানিতে তিন নেতার জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তবে তা নাকচ করে দেন বিচারক।

ভোটের আগের দিন ৪ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয় লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

পুলিশের করা এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ঠাকুরদাস মালো বিএনপি নেতাদের সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

এতে বলা হয়,বিভিন্ন আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়ে নাশকতায় উস্কানি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। দুষ্কৃতকারীদের বিষয়ে জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবের এই মামলার শুনানিতে বিএনপির আইনজীবীদের সঙ্গে শুনানিতে দাঁড়ান সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হকও।

তিনি বলেন, “ভোটারবিহীন নির্বাচনে ফাঁকা মাঠের গোল দেয়ার বিষয়ে বলেছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। এটা তো গোটা বিশ্ব দেখেছে।”

বোরহান উদ্দিনসহ অন্য আইনজীবীরা মাহবুবের পেশাগত পরিচয় তুলে ধরে জামিনের আবেদন জানান; যদিও তা আমলে নেয়নি আদালত।

আটকের একদিন পর তিন নেতাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় থেকে বুধবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে ঢাকার আদালতে নেয়া হয়। ওই সময় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা বিক্ষোভ করছিল।

নিজের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলনের পরপরই আটক হন সেলিমা রহমান।
সেলিমাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আটক হন মাহবুবকে।মিলনকে একইদিন দুপুরের পর বারিধারায় জয়নুল আবদিন ফারুকের ব্যবসায়িক কার্যালয় ধরে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ।

বরাবরের মতো আটকের কারণের বিষয়ে নিশ্চুপ ছিল পুলিশ। এর মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য নাজিমউদ্দিন আহমেদকে ছেড়ে দেয়া হয়, যাকে মিলনের সঙ্গে আটক করা হয়েছিল।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বুধবার জানান, বিএনপি নেতাদের গত ৪ জানুয়ারি উপকমিশনারের কার্যালয়ে বোমা ছোড়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিরোধী দলবিহীন ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের। ওই লক্ষ্যেই পুলিশ উপকমিশনারের কার্যালয়ে বোমা ছোড়া হয় বলে পুলিশের অভিযোগ।

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১৮ জোটের আন্দোলনের মধ্যে বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা বর্তমানে কারাবন্দি। তাদের বিরুদ্ধেও বোমাবাজি ও গাড়ি পোড়ানোর মামলা হয়েছে। এদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

এর মধ্যে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও আ স ম হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, হাফিজউদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও মাহবুবউদ্দিন খোকন।

এছাড়াও রয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নসিরউদ্দিন, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সাবেক সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, বর্তমান সাংসদ শাম্মী আক্তার, এবং চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩১:৫৯   ৩৭৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রথমপাতা’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ