নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জাতির সামনে যতো প্রশ্ন!

Home Page » জাতীয় » নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জাতির সামনে যতো প্রশ্ন!
শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৪



politics_20128_20128.jpgরাজুবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ বিরোধী দল ছাড়াই হতে যাচ্ছে ৫ জানুয়ারির একদলীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে জাতির সামনে হাজারো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের সুশীল সমাজ তথা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন স্থগিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। একই তাগিদ কূটনৈতিক মহল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারীদের পক্ষ থেকেও এসেছে। কিন্তু সরকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলার যুক্তিতে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে অনড়। মূলত অস্তিত্ব রক্ষায় এককভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতার মসনদেই থাকতে মরিয়া দলটি। এহেন পরিস্থিতিতে আওয়ামী নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে দেশে-বিদেশে? এমন যতো প্রশ্ন জাতির সামনে ঘুরপাক খাচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে বিষয়টি। খোদ আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরাও আমেজবিহীন নির্বাচনে অসন্তুষ্ট।সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা সম্পর্কে সচেতন নাগরিকগণ বলছেন, জানুয়ারির অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন চলমান সঙ্কটকে আরও ঘনীভূত করবে। চলমান সংঘাত সংঘর্ষের শ্বাসরুদ্ধকর রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ভয়াবহ অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাবে। জনসাধারণের জান মালের নিরাপত্তা, রুটি-রুজি ও বেঁচে থাকার সংগ্রাম হুমকির সম্মুখীন হবে। দেশের শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে। এ নির্বাচন বর্হিবিশ্বের কাছেও বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা এই নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাময়িকী ফরেন পলিসি শীর্ষ ১০ অস্থিতিশীল (ভালনারাবল) অঞ্চলের তালিকায় বাংলাদেশকে অর্ন্তভুক্ত করেছে। ফরেন পলিসি’র প্রতিবেদনে এসেছে, ‘বাংলাদেশ গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ২০১৪ সালে প্রবেশ করল। দেশটিতে একদিকে জানুয়ারি মাসের নির্বাচন এগিয়ে আসছে। অপরদিকে সরকার ও বিরোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতে বহু মানুষের মৃত্যু ও শত শত মানুষের আহত হওয়ার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দল দেশজুড়ে সহিংস অবরোধ বা হরতালের ডাক দিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদী শাসন ও নির্বাচনে কারচুপির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিরোধী দল বিএনপি বলছে, তারা নির্বাচন বর্জন করবে। এ ধরনের বর্জন সংকটকে ঘনীভূত করবে এবং প্রাণঘাতী সংঘাতের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযোগ করেন বাকশালের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে সরকার র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী দিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। রাজধানীর নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দল নিধন ও একদলীয় বাকশাল কায়েমের যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে তা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে যৌথবাহিনী (র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ) গঠন করে গোটা দেশকে আজ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের লীলাভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গোটা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জান-মালের পাশাপাশি অর্থ সম্পদ ও বাড়িঘরকে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। মানবতা আজ যৌথবাহিনীর বুটের তলায় পিষ্ট হচ্ছে। যৌথবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বর্তমানে আইন ও মানবতার উর্ধ্বে কিনা তা নিয়ে আজ জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিদায়ী বছরের ২৮ ডিসেম্বর দেশের বিদ্যমান সংকট সমাধানে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে দশম নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে দেশের নাগরিক সমাজ। গুলশান লেকশর হোটেলে সিপিডি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, সুজন এবং টিআইবি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সংকটে বাংলাদেশ-নাগরিক ভাবনা’ বিষয়ক আলোচনায় এ আহ্বান জানান দেশের নাগরিক সমাজের সচেতন নাগরিকবৃন্দ। এজন্য পূনরায় সংসদ ডেকে একটা নতুন ফর্মুলা তৈরি করারও কথা বলেন তারা। সিপিডি’র বোর্ড অব ট্রাস্ট্রি ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে দেশের সকল শ্রেণীর রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, সাহিত্যিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

সৈয়দ আবুল মকছুদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার পর পরবর্তীতে ক্ষমতায় না আসার চিন্তা করে না। তাই তারা নিজেদের মতো করে সংবিধান কিংবা আইন প্রণয়ন করে। বাংলাদেশের বর্তমান সংকট শিশুরাও বুঝে, কিন্তু রাজনীতিবিদরা বুঝে না। ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেন, আমরা এক কঠিন সংকটের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করছি। এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে রাজনীতিবিদদের। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন জাতির জন্য কোনো ভালো ফল নিয়ে আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু তা মানুষের অধিকারের জন্য হয়নি। স্বাধীনতা শুধুমাত্র ক্ষমতা ব্যবহার করার জন্য হয়েছে। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভাঙিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। ড. আনিসুল হক বলেন, দেশের অর্থনীতি বর্তমানে ধ্বংসের মুখে। প্রতিদিন গড়ে পাঁচ লাখ মুরগীর বাচ্চা নষ্ট হচ্ছে। প্রতি মাসে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দুই এক মাসের মধ্যে দেশের কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না। সাবেক উপদেষ্টা তপন কুমার চৌধুরী বলেন, আমরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর এ রকম হওয়ার কথা ছিল না। এখন আমাদেরকে সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশ গড়ার কাজ করতে হবে। কিন্তু আমরা এখন সহিংসতা করছি, ক্ষমতার মোহে দেশের কথা ভুলে যাচ্ছি। ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, যেখানে ১৫৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন সেখানে নির্বাচনের কোনো প্রশ্ন উঠে না। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত না হলে তা সংবিধান বহির্ভূত হয়। তাই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। ড. আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান নির্বাচন দেশের সংকট আরো বেশি ঘনীভূত করবে। তাই সংবিধান ঠিক রেখে ২৪ জানুয়ারির পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে নির্বাচন দেওয়া যায়। ড. পিয়াস করিম বলেন, বর্তমান নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ সকল দলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচন দিতে হবে। মতিউর রহমান খান বলেন, দুই নেত্রীকে বুঝিয়ে চলমান নির্বাচন বন্ধ করে একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছতে হবে। আর এ বিষয়টা বর্তমানে নাগরিক সমাজ ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না। প্রয়োজনে আমাদেরকে আমরণ অনশনসহ বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করতে হবে। বিএনপির সহ-সভাপতি শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনায় আমরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করে সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করে নির্বাচন চেয়েছি। আওয়ামী লীগ সমাধান চায়নি বিধায় তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে ইচ্ছা করলেই নতুন নির্বাচন করা যায়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশের এ সংকট ২০০৮ সালে বিএনপি-জামায়াতের পরাজয়ের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনী তারা মেনে নিতে পারেনি, তাই তারা এ সহিংসতা চালাচ্ছে। সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ৫ তারিখের নির্বাচন বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। ড. রিজওয়ানা আহমেদ বলেন, বর্তমানে আমরা মুক্তিযুদ্ধকে এবং যুদ্ধের চেতনাকে নিজের মতো করে ব্যবহার করছি। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তবে এখন শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য একে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এর আগে ঘোষিত তফসিল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। তফসিল বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন (ইসি)-এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়ও ব্যক্ত করেছেন তারা। বিদায়ী বছরের ২৬ নভেম্বর এক প্রতিক্রিয়ায় সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মহাজোটের এমপিরাই কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ বলেন, যেভাবে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তাতে নতুন কিছু নেই। স্বাভাবিক একটি ব্যাপার ঘটেছে। তিনি বলেন, আমাদের আর সময় নেই। তিনি তফসিল দিলেন। কিন্তু এর পেছনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে তার কোনো প্রতিফলন তার বক্তব্যে ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, নির্বাচন কমিশন একটা বিশেষ প্রতিষ্ঠান। তার কাজ নির্বাচন করা। অনেকটা ঠিকাদারির মতো। দেশে যে সঙ্কট চলছে তা হচ্ছে রাজনৈতিক। এর সমাধান বা সমঝোতা হলো রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপার। স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এমনটা আমার মনে হয় না। জাতীয় নির্বাচন একটা বিরাট কর্মযজ্ঞ। এতে সকল পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। একই দিন চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন দেশের ৬ বিশিষ্ট নাগরিক। দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছি। প্রধান বিরোধী ছাড়া কোনো নির্বাচন হলে তা গণতন্ত্রের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতি সব নাগরিকের মধ্যেই এক ধরনের ঐক্যমত তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবেই আমরা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছি। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী, আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

এদিকে,আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন ১০০১ সাংবাদিক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ানের (একাংশের) সভাপতি আবদুল হাই শিকদার স্বাক্ষরিত ১০০১ সাংবাদিক এক যুক্ত বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে মহাসঙ্কটের কবলে বাংলাদেশ। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। আগামী ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান এই সঙ্কট কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। দেশের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীন। পাখির মতো মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছে। এতে আরো বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের শরীক গুটিকয়েক দল ছাড়া বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও জোট, সব পেশাজীবী সংগঠন এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা একতরফা নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশ গ্রহণের একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দাবি জানিয়েছে। সরকারের একতরফা নির্বাচন ব্যবস্থার কারণে ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক মহলের পক্ষ থেকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের বিষয়ে বলা হয়েছে। একতরফা নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বার বার উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এরপরও এক তরফা নির্বাচনের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের অর্থনীতি, কূটনীতি, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যা একটি স্বাধীন দেশের জন্য কোনভাবই কাম্য হতে পারে না।

সব মিলিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে একদলীয় নির্বাচন দেশে-বিদেশে কি গ্রহণযোগ্য হবে? নাকি হাস্যরসের পাত্রে পরিণত হবে আওয়ামী নির্বাচন!

বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৭:৫৪   ৩৩৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ