লক্ষ্মীপুরে গুলিতে যুবদল নেতাসহ নিহত ৪

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » লক্ষ্মীপুরে গুলিতে যুবদল নেতাসহ নিহত ৪
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৩



index_16858.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকম:লক্ষ্মীপুরে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের শেষদিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে অবরোধ সমর্থকদের সাথে র‌্যাব পুলিশ ও বিজিবির সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৪ জন নিহত ও ২০ গুরুতর আহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েল, শিবির কর্মী মনোয়ার হোসেন, লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবদুর রশিদের পুত্র বিএনপির কর্মী মো: মাহাবুব, এ ছাড়া শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় বিএনপি জামায়াত কর্মীদের গণপিটুনিতে এক পথচারী নিহত হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলেছে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।র‌্যাব এসময় পুলিশ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাবুসহ ৪ জন কে আটক করে সদর থানায় সোর্পদ করে। পরে আহত সাবুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাবুর নেতৃত্বে বিএনপি জামাত-শিবির নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার ভোরে অবরোধের সমর্থনে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় লাঠি নিয়ে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে র‌্যাব ও বিজিবি বাধা দেয়। এসময় র‌্যাব ও বিজিবি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিনসহ ৪ জনকে আটক করে। এতে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা র‌্যাব ও বিজিবি ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। র‌্যাব ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে সরাসরি গুলি ছোড়ে। এতে জেলা যুবদল নেতা জুয়েলসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে শহরের ঝুমুর এলাকায় দ্বিতীয় দফায় র‌্যাবের গাড়ী লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে অবরোধ সমর্থকরা। এসময় র‌্যাব গুলি ছুড়লে শিবির কর্মী মাহামুদ, বিএনপির কর্মী মাহাবুবসহ ১০ জন আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিবির কর্মী মাহামুদ ও বিএনপির কর্মী মাহাবুব মারা যায়।

পরে ১৮ দলের কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় র‌্যাবে সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে অবরোধ সমর্থকরা র‌্যাবের সোর্স ও আওয়ামীলীগ কর্মী মনে করে এক পথচারীকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ রাস্তার ফেলে চলে যায়।

বর্তমানে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জেলা বিএনপি লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সহ ২০ গুলিবিদ্ধ হওয়ায় এবং ৩ নেতা কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শনিবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডঃ হাফিজুর রহমান হরতাল আহবান করার বিষয়টি দুপুরে নিশ্চিত করেছেন। এ দিকে এ সৃষ্ট ঘটনায় শহরে তীব্র উত্তেজনা ও জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শহরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

সদর থানার ডিউটি অফিসার এসআই নুরজাহান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহ ৪ জন আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন জানান, র‌্যাব ও পুলিশের গুলিতে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদসহ ২ জন গুলিতে নিহত হয়েছে।

যুবদল নেতা জুয়েল সে পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে ও বিএনপির নেতা মাহাবুবের বাড়ী সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৮:২৪   ৪৫২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সংবাদ শিরোনাম’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ