মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন না পরিকল্পনামন্ত্রী

Home Page » জাতীয় » মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন না পরিকল্পনামন্ত্রী
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৩



planning-minister20131115003412.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ শারীরিক কারণে মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক ও পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার বীরউত্তম আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলছেন না।বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মন্ত্রী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন নি বলে নিশ্চিত করেছেন তার সহকারী একান্ত সচিব(এপিএস) ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক আজাদুল ইসলাম আজাদ। তিনি বঙ্গনিউজকে বলেন, ‌‌মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে এখনো সময় আছে। মন্ত্রী মহোদয়ের নিজের নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীদেরও চাপ আছে। তাই শেষ মুহূর্তে হলেও তিনি মনোনয়ন ফরম নিতে এবং জমা দিতে পারেন।`তবে পরিকল্পনামন্ত্রীর ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মন্ত্রীর বর্তমানে ৮৩ বছর চলছে। মাঝে মাঝেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াসহ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। তাই তিনি এ যাত্রায় আর নির্বাচন করছেন না। শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতির কারণে তার পক্ষে হয়তো আর কখনোই নির্বাচনের রাজনীতি করা সম্ভব হবে না। মন্ত্রীর খুবই কাছের একজন সরকারি কর্মকর্তাও নাম প্রকাশ না করার শর্ত বঙ্গনিউজকে বলেন, ‘স্যারের জন্য আসলে কোন দলীয় রাজনীতির প্লাটফরম সঠিক স্থান নয়। পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ সরকারের এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষের একমাত্র প্রতিনিধি, যিনি এখনো বেঁচে আছেন, তিনি কি শুধু ভোটের রাজনীতিই করেই যাবেন। তাকে নিয়ে সবাই অহংকার করতে পারেন। কাজেই সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে রাষ্ট্রকেই তার অবস্থান নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত। রাষ্ট্রীয় সম্মানই তার সবসময় প্রাপ্য।’১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয়। আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমা দান কার্যক্রম চলবে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে পাবনা -২ আসন(সুজানগর ও বেড়া উপজেলার আংশিক) থেকে নির্বাচন করেন হেভিওয়েট এ প্রার্থী। আব্দুল করিম খন্দকার (একে খন্দকার) মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির একেএম সেলিম রেজা হাবিব পান ৯৫ হাজার ভোট। এ আসনে মোট ভোটার ২লাখ ৩৪ হাজার ৯৮২ ভোট। পরে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী একে খন্দকার ২০১১ সালের স্বাধীনতা পদকও পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ অবদানের কারণে ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে। কর্মজীবনে তিনি সাবেক বিমান বাহিনী প্রধানের, এরশাদ সরকারের সময় পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্বসহ অষ্ট্রেলিয়া ও ভারতে কুটনীতিকের দায়িত্বও পালন করেছেন। নেতৃত্বে রয়েছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সঙ্গেও।

বাংলাদেশ সময়: ০:৫২:২৫   ৪০৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ