আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৩



khulna-kuet-bg0520131106012336.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ দাবি পূরণ না হওয়ায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ০৯ ব্যাচের ১১৯ জন শিক্ষার্থী মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। এর আগে তারা রোববার ও মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবন ও পুরকৌশল বিভাগের সামনে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতিকী অনশন পালন করেন। অনশন থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা বঙ্গনিউজকে বলেন, দুই দিনের অনশনের সময় প্রশাসন আমাদের ক্লাসের তারিখ ঘোষণার অনেকভাবে আশ্বাস দিয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকসহ সহ বেশ কিছু বৈঠকও করেছে। কিন্তু আমরা প্রশাসন থেকে ক্লাস এর ব্যাপারে কোন পরিষ্কার উত্তর পাইনি। পেয়েছি শুধু প্রহসনমূলক রেজিস্ট্রেশনের তারিখ। তারা আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমরা টের পাই প্রশাসন রাতের আঁধারে একাডেমিক ভবন থেকে অন্য বিভাগের ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার খাতা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যাতে আমরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে রাখলেও অন্য বিভাগগুলোর পরীক্ষা যাতে তারা চালিয়ে নিতে পারে। প্রশাসনের এরকম কার্যকলাপের প্রতি এবং আমাদের আন্দোলনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধের অভাব দেখে আমরা মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা আমাদের দাবি অনুযায়ী স্পপষ্টভাবে ক্লাসের তারিখ না পাওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো।

এদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বঙ্গনিউজকে বলেন, সমস্যাটি নিরসনের জন্য কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার সকালেও বৈঠক রয়েছে। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৪ এপ্রিলে পুরকৌশল বিভাগের ০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সেন্ট্রাল ভাইভা পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন শিক্ষার্থী কুয়েট ক্যাম্পাস ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট, ব্লগ ও ফেসবুকে কটূক্তি করেন। এ ঘটনার পর পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষকরা কর্মবিরতি ও অবিলম্বে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে দাবি জানান।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হন কুয়েটের নয় শিক্ষার্থী। একই অভিযোগে আরো ১০ শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়।

এর মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থী রিটের পর হাইকোর্ট শাস্তির স্থগিতাদেশ দিলে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওই বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে শিক্ষকরা বিরত থাকেন। আর কুয়েট কাউন্সিল কর্তৃক শাস্তির সিদ্ধান্ত বহাল রাখার দাবিতে ৪ মে থেকে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে আসার পর ওই বিভাগের ৮ জন শিক্ষক তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে পদত্যাগও করেন।

এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতি শিক্ষার্থীদের বৃহৎ স্বার্থে ১৯ আগস্ট তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে পরীক্ষার কার্যক্রম পুনরায় চালু করে। কিন্তু তখনও ০৯ ব্যাচের কেবলমাত্র এক শিক্ষার্থীর শাস্তির স্থগিতাদেশ মেনে নেননি শিক্ষকরা। যার কারণে তারা ১১৯ জন শিক্ষার্থীর ক্লাস নেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১:৪৯:০১   ৩৬৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সংবাদ শিরোনাম’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ