রাজধানীর অন্যতম প্রধান কাঁচা বাজার কাপ্তান বাজারে এক হালি ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে ২৪ হাজার টাকায়।
কাপ্তান বাজারের ইলিশ বিক্রেতা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “একহালি ইলিশ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এই একহালি ইলিশের ওজন সাত কেজি একশ’ গ্রাম। আমার এই ইলিশগুলো ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় ইলিশ’’।
বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের বাকি আছে আরও নয়দিন। কিন্তু এখনই মূল্যবৃদ্ধির ছোঁয়া লেগেছে ইলিশ মাছে।বছরের অন্যান্য দিন পাতে ইলিশ পড়ুক আর না পড়ুক, পহেলা বৈশাখের এই দিনটিতে নিজের পাতে ইলিশ মাছের পেটি দেখতে কে না চায়।
প্রথম বৈশাখের সকালে পান্তাভাতের সঙ্গে এক টুকরো ইলিশ যেন বাঙালি রসনা বিলাসের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর ইলিশের প্রতি বাঙালির এই অমোঘ আকর্ষণের সুযোগ নিতে একটুও কালক্ষেপণ করছে না সুযোগ সন্ধানি মাছ ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।
পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তাই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ইলিশের দাম।
ক্ষেত্র ভেদে রাজধানীতে ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ.
‘‘পহেলা বৈশাখের কারণে ইলিশ মাছের দাম বাড়তে শুরু করেছে। পহেলা বৈশাখের দিন ইলিশ মাছের দাম আরো বাড়তে পারে”।এছাড়া ছোট আকারের ইলিশের দামও বাড়তে শুরু করেছে। নিউমার্কেট বাজারে ছয় কেজি ওজনের একহালি ইলিশ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
নিউমার্কেট কাঁচা বাজারের ইলিশ বিক্রেতা নয়ন বলেন, “বৈশাখের মৌসুমে ইলিশের দাম একটু চড়া হবেই তা কেউ ঠেকাতে পারবে না”।
তবে রাজধানীর কাঁচা বাজারে অন্যান্য মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৫০, কই মাছ ২৫০, বড় তেলাপিয়া ২৫০, বড় আকারের শিং মাছ ৮০০, ছোট আকারের শিং মাছ ৬০০, সিলভার ১৫০ ও রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা দরে।
গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। গরুর মাংস সিটি করপোরেশনের বেধে দেওয়া দর ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টানা হরতাল ও সহিংসতায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে কাঁচা বাজারে। প্রতিকেজি পটল ৪০, বেগুন ৩০, ঢেড়স ৪০, শিম ৩০, শসা ২০, পেপে ২০, চিচিঙা ৩৫, কাঁচা মরিচ ৫৫, ঝিঙা ৫০, গাজর ২০, ও টমেটো ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ ৩০ ও বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে।
চায়না রসুনের দামও কমেছে। প্রতিকেজি চায়না রসুন ৯০ ও দেশি রসুন ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কমেছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ২৮ ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা দরে। আলুর দামও কমেছে প্রতিকেজি আলু ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকের ঘরে নতুন মসুর ডাল ওঠার কারণে সব ধরনের মসুর ডালের দাম কমেছে। প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল ১৩০, মোটা দানা মসুর ডাল ৭৫, বুট ৮০, ছোলা ৭৫, অ্যাংকার ৪৮ ও মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে।
সব ধরনের মোটা ও চিকন চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চিনির দাম কেজি প্রতি একটাকা বেড়ে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সয়বিন তেলের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৩৪ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৬৫ টাকা দরে। চিকন ও মোটা প্যাকেটজাত লবনের দামও অপরিবর্তীত রয়েছে।
প্রতিকেজি প্যাকেটজাত চিকন লবন ২৮ ও মোটা লবন বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা করে।
তবে এ সপ্তাহে সব ধরনের গুড়া দুধের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। কোম্পানি ভেদে প্রতিকেজি গুড়া দুধ ৪৬০ টাকা থেকে ৫১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০৮:০২ ৫০১ বার পঠিত