বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১শ’ টাকা ছাড়িয়েছে। বিক্রেতারা দাম হাঁকাচ্ছেন প্রতি পোয়া ( আড়াইশ’ গ্রাম) ৩০ টাকা। আর সবজির বাজারে এক রকম আগুনই লেগেছে বলছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে পেঁয়াজের দরও কমার লক্ষণ নেই। সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টিপাতের প্রভাবে কাঁচা মরিচ ও সবজির বাজারে দামের উর্ধ্বগতি বলে স্বীকার করছেন বিক্রেতারা। রাজধানীর বাড্ডা, শান্তিনগর, সেগুন বাগিচা, সুত্রাপুর, পলাশি, মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেটসহ বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতি পোয়া ৩০ টাকা দরে। কেউ কেউ আবার ৩৫ টাকাও দাবি করছেন। তবে, এক কেজি কিনলে ১১০ টাকায় মিলবে। মরিচের দামের এই হালের পেছনে বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
অথচ এক সপ্তাহ আগেও এই মরিচ মিলতো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সবজি বিক্রেতা খলিলুর রহমান বঙ্গনিউজকে বলেন, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে মরিচ ক্ষেতগুলিতে পানি জমেছে। এতে মরিচ সংগ্রহ করতে অসুবিধা হচ্ছে। এজন্যই বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায় কোনো কোনো সবজিতে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহের গোড়ার দিকে, প্রতি কেজি বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় মিলতো এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজির বেগুন, করল্লা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আবার ৫০ থেকে ৬০ টাকায় যে শিম পাওয়া যেত তার দাম বেড়ে হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। এক কেজি টমেটো মিলবে ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
গত সপ্তাহের ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজির ঢেড়শের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ৩০ থেকে ৩২ টাকা আনাজ, ঝিঙে ৩৮/৪০ থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে। শসা ও পুঁইশাক ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৫ থেকে ২০ টাকা হালির কাঁচকলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা হয়েছে।
পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের সবজি ক্রেতা রমিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দামে যে আগুন লেগেছে তাতে মনে হচ্ছে এক কেজির জায়গায় আধা কেজি না কিনলে বাজেটে পোষাবে না।
তবে, দাম বাড়েনি আলু আর পেঁপের। বরাবরের মতোই এক কেজি আলু মিলবে ১৫ থেকে ১৭ টাকা আর পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যেই।
সবজি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বঙ্গনিউজকে জানান, দিন কয়েক ধরেই সবজির বাজার চড়া হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত না কমলে এই সবজির দামের চড়াভাব অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, পাইকারি বাজারে প্রতি ৫ কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দর। তাই খুচরা বাজারে দাম কমার সম্ভাবনা কমে হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা আর আগের মতোই প্রতি কেজি রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং আদা মিলবে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি মুগ ডাল ১৩০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০৫ টাকা থেকে দোকান ভেদে ১১৫ টাকা পর্যন্ত। আবার মোটা মসুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫, অ্যাংকর ডাল ৬০ থেকে ৭০ আর খেসারি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি মুরগির ডিম (ফার্ম) ৩০ থেকে ৩২ টাকা হালি। কিন্তু হাঁসের ডিম ও দেশি মুরগির ডিম মিলবে পাক্কা ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়।
তবে, গরুর মাংস কিনতে ২৯০ থেকে ৩শ’ আর খাসির মাংস ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ এবং ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫১:৪৯ ৪৪৭ বার পঠিত