রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে জনসধারণের সাথে সরকার ধোঁকাবাজি করছে

Home Page » প্রথমপাতা » রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে জনসধারণের সাথে সরকার ধোঁকাবাজি করছে
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩



dru-bg-72520130927073813.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকম:জাতীয় স্বার্থবিরোধী রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, সরকার রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে জনসধারণের সাথে ধোঁকাবাজি করছে। দেশের মানুষের স্বার্থ উপেক্ষা করে ভারতের স্বার্থ রক্ষার্থেই এ চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও তারা মন্তব্য করেন।এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সরে আসার অনুরোধ করা হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে।

শুক্রবার সকালে ডিআরইউ’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. আব্দুল মতিন।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সরকার ত্রুটিপূর্ণ পরিবেশ সমীক্ষা প্রতিবেদনের মাধমে দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সুন্দরবন হতে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে প্রস্তাবিত এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে সুন্দরবনের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। সরকার কর্মসংস্থানের দোহাই দিয়ে পুরো দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।

মূল প্রবন্ধে আরোও বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেখানে কয়লা ভিত্তিক প্রকল্পের বিরোধিতা করে সেখানে সরকার এক তরফাভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিন্ধান্ত নিয়েছে। কোন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়াই ভারতকে খুশি করার জন্যই এ প্রকল্প করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমাদের দেশে জাতীয় স্বার্থবিরোধী কোন চুক্তি হতে পারে না। এ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবন আর সুন্দর থাকবে না তখন এটির নাম দিতে হবে অসুন্দরবন। যেখানে দেশের স্বার্থ রক্ষা হবে না সেখানে কিসের লাভ ক্ষতির হিসাব।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার রাজতন্ত্রের মতো কাজ করছেন। নিজেদের খেয়াল খুশিমতো জনদাবিকে উপেক্ষা করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। সরকার যদি নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে তাহলে অবশ্যই সবার মতামতের ভিত্তিতে‌ একটি সমন্বিত সিন্ধান্ত নেবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুন্দরবনের সন্নিকটে পরিবেশ বিধ্বংসকারী কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান হতে পারে না। যদি রামপালে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করতেই হয় তাহলে পরিবেশ সমীক্ষা ইআইএ রিপোর্ট জনসন্মুখে প্রকাশ করে দেশের মানুষকে জানাতে হবে এখানে কী চুক্তি করা হয়েছে। কোনো ধোঁয়াশার মধ্যে একটি চুক্তি হতে পারে না। তাছাড়া পরিবেশ আইনের ১২ এর ৪ ধারা অনুযায়ী কয়লা ভিত্তিক কোনো চুক্তি করতে হলে তার আগে ইআইএ রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, এই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিশ্বের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, সরকার নির্বাচনের আগে তারাহুড়ো করে ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য এ চুক্তি বাস্তবায়ন করছে। সরকার ভারতের স্বার্থে কোনো চুক্তি হলেই তা দ্রুত বাস্তবায়নে আগ্রহী হয়ে পড়ে। জনতার দাবিকে উপেক্ষা করেই এসব চুক্তি করা হচ্ছে। তাই এ সরকারকে গণতান্ত্রিক সরকার বলা যায় না। এই সরকার দেশ প্রেমিক সরকার নয়।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক শরিফ জামিল, স্থ্যপতি ইকবাল হাবিব, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৭:৫৪   ৪০৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রথমপাতা’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ