বঙ্গ-নিউজ
ডটকমঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের শিশুতোষ পাতা ইচ্ছেঘুড়ির নিউজরুম এডিটর মীম নোশিন নাওয়াল খান দ্বিতীয়বারের মতো জিতে নিলেন মীনা অ্যাওয়ার্ড। ইউনিসেফ প্রতি বছর ক্রিয়েটিভ ও জার্নালিস্টিক দুই ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এবার ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য সবচেয়ে সম্মানজনক এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ৯ম আসর। ক্রিয়েটিভ শাখায় তৃতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেয়ে দ্বিতীয়বারে মতো পুরস্কার পেলেন মীম। মঙ্গলবার বিকেল চারটায় রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলের বলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি, ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত চিত্রনায়িকা মৌসুমী এবং ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি প্যাসকেল ভিল।
মীমের পাওয়া পুরস্কার
২০১০ সালে মীম পেয়েছিলেন প্রিন্ট মিডিয়া সৃজনশীল অনূর্ধ্ব ১৮ বিভাগে প্রথম পুরস্কার। এবার এ শাখায় ৫টি মনোনয়নের মধ্যে দুটি ছিল মীমের। এর মধ্যে মাসিক শিশু পত্রিকায় প্রকাশিত ‘পতাকাওয়ালা’ গল্পের জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার পেলেন মীম। পুরস্কার হিসেবে মীম পেয়েছেন ২৫ হাজার টাকা, একটি সম্মাননা পদক এবং সনদ। এ শাখায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন সুমাইয়া বরকতুল্লাহ এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন সুমনা আক্তার।
মীমের লেখালেখি
বেড়ে ওঠাটা ঢাকায় হলেও মীমের শেকড় ফরিদপুর জেলা শহর। সেখানকার স্থানীয় পত্রিকা ফরিদপুর বার্তায় ছাপা হয় প্রথম ছড়া। লেখালেখির হাতেখড়ি সেখানেই এরই মধ্যে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মীমের ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম বই ‘কণকচাঁপা’ (ছড়া) প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। তৃতীয় শেণীর ছাত্রী তখন মীম। এ বইয়ের মাধ্যমেই দেশের কনিষ্ঠতম গ্রন্থলেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। প্রথম গল্প ‘বুকের ভিতর স্বপ্ন’ দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াকালে লেখা। সবুজ পাতায় ছাপা হয়েছিল পরের বছর। তার এক বছর পরই মীনা অ্যাওয়ার্ডে প্রিন্ট মিডিয়া ক্রিয়েটিভ আন্ডার এইটিন প্রথম পুরস্কার অর্জন। দ্বিতীয় গল্প ‘নানুর একটা জগৎ আছে’ ঐতিহ্য গোল্লাছুট গল্প লেখা প্রতিযোগিতা ২০০৯-এ অন্যতম সেরা। দৈনিক যায়যায়দিন, প্রথম আলো, আলোকিত বাংলাদেশ, মাসিক শিশু, নবারুণ ও সবুজ পাতাসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয় মীমের লেখা। লেখালেখি ছাড়াও ছবি আঁকা, গ্লাস পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি ও বিভিন্ন রকম হ্যান্ডমেইড কাজেও পারদর্শী মীম।
মীমের বইগুলো
দ্বিতীয় বই স্বপ্নপুরী (ছড়া) ২০১০ সালে, ৩য় বই বুকের ভিতর স্বপ্ন (গল্প) ২০১১ সালে, ৪র্থ বই রূপার নূপুর (গল্প) ২০১২ সালে এবং ৫ম বই একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের ডায়রি (কিশোর উপন্যাস) ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়।
বাংলানিউজে মীম
বাংলানিউজের সঙ্গে মীমের পথচলা শুরু এ বছরের মার্চ মাসে। তার অসাধারণ লেখনীতে মুগ্ধ হয়ে বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন গত জুলাই মাসে তাকে সর্বকনিষ্ঠ নিউজরুম এডিটর হিসেবে নিয়োগ দেন।
মীমের স্বপ্ন ও পরিবার
আরেকটু বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চান মীম। সর্বকনিষ্ঠ বাঙালি হিসেবে জিতে নিতে চান নোবেল। পাশাপাশি চালিয়ে যেতে চান লেখালিখিও। পুরস্কার প্রাপ্তির পর মীম বলেন, খুব ভালো লাগছে। ছোটদের জন্য কাজ করতে পারাটা সবসময়ই আনন্দের। সে কাজের স্বীকৃতি পাওয়াটা নিঃসন্দেহে আরো আনন্দের। মীমের বাবা আবদুল মোনেম খান ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। মা হোসনে আরা রশিদ ঘরে থেকেই মীমের বেড়ে ওঠার দেখভাল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২২:৫৭ ৪৪৭ বার পঠিত