চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, কেউ কেউ জুজুর ভয় দেখাচ্ছে উত্তর পাড়া থেকে এসে কেউ ক্ষমতা দখল করবে। সেই ভয় আর নেই। আওয়ামী লীগ পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সে পথ বন্ধ করে দিয়েছে।কেউ ক্ষমতা নিতে চাইলে তার শাস্তি সরাসরি ফাঁসি। সুতরাং আবার কোন ফখরুদ্দিন, মঈনুদ্দিন ক্ষমতা নেওয়ার সাহস করবে বলে আমার মনে হয় না।
শুক্রবার রাতে নগরীর সিনিয়রস ক্লাবে রোটারি ক্লাব চট্টগ্রাম আয়োজিত ১৩তম অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন অন্তবর্তী সরকারের অধীনে হতে পারে উল্লেখ করে রফিকুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে ৫ জন বিএনপি থেকে ৫ জন ও জাতীয় পার্টি থেকে কয়েকজন নিয়ে অন্তবর্তী সরকার গঠন করতে পারেন। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন? উভয় দল মিলে ঠিক করবে যে ব্যক্তি দু’দলের পছন্দ তাকেই প্রধান করে অতি শিগগির নির্বাচন দেওয়া উচিত।
‘ সংকট সমাধান দু’নেত্রীর হাতে’ উল্লেখ করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, দু’নেত্রী ইগো নিয়ে বসে আছেন। এরকম হলে সমস্যার সমাধান হবে না। দু’নেত্রীকে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ইগো পরিহার করে একটি ভাল নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় দেশ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। নির্বাচন দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সাধারণ জনগনকে দুঃখ দূর্দশা থেকে রেহাই দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, সময় খুব কম। স্বাভাবিক ভাবে নির্বাচন হলে ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারীর মধ্যে হতে হবে। আর যদি এর আগে ঘোষণা দেওয়া হয় তাহলে যখন ঘোষণা দিবে তখন থেকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দু’নেত্রীর মধ্যে সমঝোতার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
দেশ গভীর সংকটকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, পরিবর্তনের জন্য আমাদের সংবিধান সংশোধন দরকার। যাতে করে একজন দু’বার প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। নতুন প্রজন্মকে আসতে হবে। সজীব ওয়াজেদ জয়, তারেক জিয়া ও মাহী বি চৌধুরী। এদের ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন। নতুন প্রজন্ম আসলে পরিবর্তন হতে পারে।
রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের মানসিক পরিবর্তন দরকার উল্লেখ করে রফিকুল হক বলেন, পরিবর্তন না এলে দূর্দশা দূর হবে না। মিলে মিশে বসে আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরকেই করতে হবে।
চট্টগ্রামের প্রতি আলাদা দূর্বলতা রয়েছে উল্লেখ করে রফিকুল হক বলেন, এখানে অস্ত্রাগার লুন্ঠন, স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে অনেক কারণে চট্টগ্রামের প্রতি আমার আলাদা দূর্বলতা রয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছেন তা নিয়ে বির্তক আছে কিন্তু চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে ঘোষণা দিয়েছেন তা নিয়ে কোন বির্তক নেই। চট্টগ্রামের সন্তান ড. ইউনুসের জন্য সবচেয়ে বেশী গর্ব অনুভব করি। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ ও চট্টগ্রামকে পরিচয় করিয়েছেন ড. ইউনুস।
রোটারি ক্লাব চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীরের পরিচালনায় অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব সুফী মিজানুর রহমান, রোটারি ক্লাবের সাবেক সভাপতি আকম মাসুদুল করিম ও রোটারি ক্লাবের কর্মকর্তারা। এর আগে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে রোটারি ক্লাবের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ৭:০১:২৬ ১৪২৯ বার পঠিত