বঙ্গ-নিউজ ডট কম: দেশের সর্ববৃহত্তম স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ গেটে ।
গর্বের এ ৩ সন্তান হচ্ছেন- জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এ রকম কাজ এ অঞ্চলে প্রথম বিধায় প্রতিদিন শিল্পীর এ কারুকাজ দেখতে ভিড় জমছে শত শত মানুষের।
ভাষ্কর্যের নির্মাণ কাজটি করাচ্ছেন- বেনাপোল পৌর মেয়র ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যাদের জন্য বিশ্ব দরবারে পরিচিত তাদেরকে সন্মান দেখানোর জন্য বাংলাদেশ গেটে এই ভাষ্কর্যের নির্মাণ কাজ হচ্ছে। দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত বেনাপোল বন্দর এলাকায় বেড়াতে আসেন।এছাড়া বাংলাদেশে ঢোকার এবং বের হওয়ার প্রথম ও শেষ মুহূর্তে এ ছবিটি তাদের চোখে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, পর্যটনের সম্ভাবনাময় স্থান হিসাবে অনেকেই বেনাপোলকে নির্বাচন করে থাকেন। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৫ ঘন্টায় বেনাপোলে আসা যায়। রাত যাপন ও রেষ্টুরেন্টের জন্য বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের একটি পর্যটন মোটেলসহ আরো বেশ কয়েকটি রুচিসম্মত আবাসিক হোটেল রয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায়।
পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস-ইমিগ্রেশন ভবনেই রয়েছে ডিউটি ফ্রি শপ।
বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে মাত্র ৮৪ কিঃমিঃ রাস্তা পেরোলেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ৩শ’ বছরের পুরানো কলকাতা শহরে যাওয়া যায়। বেনাপোল থেকে ১৫ কিঃমিঃ দক্ষিণে গেলেই দেখা যায় কনক রাজার বাড়ি।
যা প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন বহন করে চলেছে। বেনাপোল বন্দর সংলগ্ন ছোট আঁচড়ায় রয়েছে হাজার বছরের প্রাচীন শিব মন্দির। বেনাপোল বাজারের পাশেই রয়েছে শ্রী শ্রী হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়ি আশ্রম।
এ আশ্রমে ২ হাজার বছরের পুরনো মাধবীলতা গাছটি এখন একটি বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এখানে আরো রয়েছে- দুর্লভ তমাল বৃক্ষ। যার নিচে বসে ধ্যানে মগ্ন থাকতেন হরিদাস ঠাকুর। তার জীবনী নিয়ে এই আশ্রমে তৈরী হয়েছে মিনি মিউজিয়াম। যা বেনাপোলে এসে নিজের চোখে দেখে সবাই তৃপ্ত হন।
যশোর থেকে সড়ক পথে বেনাপোল বন্দরে আসতে আরো চোখে পড়বে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বৃক্ষ বেশ কিছু শিশু গাছ। এগুলো ব্রিটিশ আমলে রোপন করেছিলেন কালীগঞ্জের মহারাজা কালীবাবু।
তাঁর মা এপথ ধরে তীর্থে যেতেন পুরী, গয়া-কাশী, মথুরা-বৃন্দাবনসহ বিভিন্ন ধর্মীয়স্থানে। তাঁর মা যাতে রৌদ্রের জ্বালা না পেয়ে গাছের শীতল ছায়ায় যেতে পারেন সেজন্য তিনি এ শিশুগাছ রোপন করেছিলেন।
এছাড়া চাঁচড়ার রাজবাড়ী, শিবমন্দির, ঝিকরগাছার গাজীর দরগায় গাজী, কালুর মাজার। রয়েছে ইংরেজ শাসনামলে তৈরী গদখালীর কালী মন্দির। প্রায় পথের ধারে এতোসব প্রাচীন নিদর্শন স্বচোখে দেখতে দেখতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা বেনাপোল বন্দর দিয়েই ভারতে যাতায়াত করেন।
দেশ-বিদেশের পর্যটকরা বাংলাদেশ গেটের সঙ্গে ছবি তোলেন এ কারণে এই কারণে নো-ম্যান্সল্যান্ডের পাশে নির্মান করা হচ্ছে বাঙালি জাতীর শ্রেষ্ঠ তিন সন্তানের ভাষ্কর্য। ভাষ্কর্য শিল্পী হচ্ছেন মৃনাল হক।এ নির্মাণ কাজটিকে ইতোমধ্যে সবার নজর কেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৭:৩৪ ৩৮৭ বার পঠিত