আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে বললেন ফখরুল

Home Page » প্রথমপাতা » আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে বললেন ফখরুল
বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩



fakrul-bg20130904021329.jpgবঙ্গ-নিউজ ডট কম: গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬ষ্ঠ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনাসভা ও লন্ডনে তার দেওয়া বক্তব্যের ওপর প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথ দখল করতে হবে। এখন আর মাসের পর মাস সময় হাতে নেই। এ সরকারের মাত্র কয়েক সপ্তাহ সময় আছে। এই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাজপথ দখলে নিতে হবে, চূড়ান্ত আন্দোলন করে দাবি আদায় করে নিতে হবে। বদ্ধঘরে স্লোগান না দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এবং নিজেদের সংগঠিত রাজপথে আন্দোলন করে এ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, চতুর্দিক বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে- রাজপথ দখল।

প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ যেখানেই ভোট দিক তা নৌকায় চলে যাবে এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, এতোদিন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে বিরোধী দলকে সম্পৃক্ত করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা বললেও এখন দেখছেন তাতেও কাজ হবে না। জামানত হারাতে পারে এ ভয়ে প্রধানমন্ত্রী এখন তার অধীনেই নির্বাচন করার কথা বলছেন। তবে এ নির্বাচনে ভোট যেখানেই দেওয়া হোক তা নৌকায় যাবে। আর এমন নির্বাচন বিএনপি মানবে না, জনগণ এ ফাঁদে পা দেবে না।

সরকার ভিন্ন লেবাসে একদলীয় শাসন কায়েমের জন্য নিজেদের পছন্দমতো সংবিধান সংশোধন করেছে এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, বলছি না যে, আমাদের ক্ষমতায় বসাতে হবে, খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। আমরা চাই, শান্তিপূর্ণভাবে জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে। সে লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন করছি। আর এ আন্দোলনে বিজয় নিশ্চিত করতে হলে রাজপথ দখলে নিতে হবে।

তারেক রহমান ও সজীব ওয়াজেদ জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন বেড়ে উঠেছেন উদারতার মধ্য দিয়ে আর একজন বেড়ে উঠেছেন হিংসার মধ্য দিয়ে। কারণ, জয় যেদিন বাংলাদেশে আসেন, সেদিন তারেক রহমান তাকে ফুল পাঠিয়েছিলেন। এটাই হলো বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আলী রেজাউর রহমান রিপন, উত্তরের সভাপতি ইয়াসিন আলী প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু।

সভার শুরুতেই স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীদের মধ্যে চেয়ারে বসা ও ব্যানার টানানো নিয়ে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৬:২৪   ৩৮৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রথমপাতা’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ