বঙ্গনিউজঃ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে সামনে রয়েছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ শুরু করেছেন। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের প্রয়োজন দক্ষ ও মেধাসম্পন্ন জনসম্পদ। গর্ভাবস্থা থেকেই মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে সরকার মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি সফল বাস্তবায়ন হলে আমরা মেধাসম্পন্ন দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তুলতে পারবো।
তিনি বলেন, শিশুর সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশের জন্য শিশুদের জীবনের প্রথম আট বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর শিক্ষা ও বিকাশের ভিত্তি রচিত হয়। শিশুর সঠিক প্রারম্ভিক বিকাশ মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। একটি মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিশু বান্ধব সরকার শিশুর খাদ্য,পুষ্টি, স্বাস্থ্য-সেবা, সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিত করছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, এ বছর থেকে বারো লক্ষ চুয়ান্ন হাজার মা ও শিশুকে তিন বছর মাসে আটশত টাকা করে মা ও শিশু সহায়তা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে ষাট লক্ষ মা ও শিশুকে এ সহায়তা প্রদান করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আজ ৮ নভেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খুলনা জেলা বিভাগীয় কমিশনার মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন। এসময় জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা সুলতানা, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদারসহ বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। দেশ স্বাধীনের পর পরই শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে মা ও শিশুর খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত হবে। এর ফলে মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে এগিয়ে যাবো আমরা। এই মহৎ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।
কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ৫টি জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য বিভাগ ও সমাজসেবা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ যোগদান করেন।
কিশোর-কিশোরী ক্লাব পরিদর্শন
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আজ বিকেলে বাগেরহাটে নাগেরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিশোর কিশোরী ক্লাব পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সরকার দেশের সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আট হাজার কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন করেছে। এই ক্লাব কিশোর-কিশোরীদের বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স প্রতিরোধ এবং রিপ্রডাক্টিভ হেলথ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সচেতন করছে। কিশোর কিশোরীরা ক্লাবে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৫:২৬ ২৬৪ বার পঠিত #উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি #চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ #ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা #মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর