বঙ্গনিউজ ডটকমঃ আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার রূপরেখা কী হবে তা সংবিধানের আলোকে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।সোমবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে আয়োজিত মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবিরোধী সার্ক অঞ্চলের বিচার বিভাগীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী বলেন, “সংবিধানে অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিধান আছে। তবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য ওই সরকারের রূপরেখা কী হবে তা ঠিক করতে আলোচনার বিকল্প নেই।”

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, “সবাই সংলাপের কথা বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কেমন হবে তা নির্ধারিত হবে।”

নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হলে যে কোনো সরকারের জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব হয় বলেও মত দেন আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, “সংবিধানেই বলা আছে নির্বাচনের সময়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করার কথা। ৭২-এর সংবিধানেই সেটি আছে। সংবিধানের ৫৬, ৫৭ অনুচ্ছেদ যদি দেখেন তাহলে কিন্তু সেখানে এটাই বলা আছে।”

মন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশন হলো আমাদের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী আছে। তারা স্বাধীনভাবেই কাজ করে।”

এই কমিশনের অধীনে ইতোপূর্বে যে কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো সুষ্ঠু হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, “বিগত উপ-নির্বাচন ও পাঁচ সিটি নির্বাচনে এটি প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে, নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীনভাবে, সুষ্ঠুভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে।”

বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক জঙ্গিবাদের উত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, “এই জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলো শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের ওপরই হামলা করছে না, এরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও হামলা করছে, তাদের হত্যা করছে।”

এসব হামলাকারী জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলোকে দেশের শত্রু আখ্যায়িত করে মন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৪:২০   ৩৮৪ বার পঠিত