বঙ্গনিউজঃ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাঁচাপাট মজুতের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে সরকার।
(৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী’র অফিস কক্ষে বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ), বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুর রহমান, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সেখ নাসির উদ্দিনসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশে কাঁচাপাটের সংকট তৈরির কারণে পাটকলগুলো উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এজন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত হতে বিরত রাখা; ভিজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা; বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদফতরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে । কাঁচাপাটের ডিলার বা আড়তদাররা ১ হাজার মণের বেশি কাঁচাপাট ১ (এক) মাসের বেশি সময় ধরে মজুত করতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদফতরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচবছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানিনির্ভরতা আর থাকবে না। এ পাট মৌসুম থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে। ধাপে ধাপে তা আগামী পাঁচবছরে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উচ্চফলনশীল পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন এবং মানসম্মত পাট উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের অধীন তালিকাভুক্ত সকল পাটচাষীকে বিনামূল্যে উফশী জাতের পাটবীজ সার (ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপিও) এবং বালাইনাশকসহ কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ৬৯৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। রফতানি আয়ে পাটখাত চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১:১৮:২০ ২৮৭ বার পঠিত # #কাঁচাপাট #জুট #পাটকল