নুরুজ্জামান শুভ বঙ্গনিউজ জাবি প্রতিনিধিঃ করোনার কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিগত ১৬ মাস বন্ধ থাকলেও সেশনজট নিরসনে বিভিন্ন বর্ষে অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা চলছে।যেহেতু অনলাইনে পরীক্ষা হবে,তাই নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের সংযোগ প্রয়োজন। কিন্তু দেশের সর্বত্র ইন্টারনেটের স্পিড সমান নয়।যে কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে বাসা,মেস ভাড়া করে অবস্থান করা শুরু করেছিল।এছাড়া গত বছরে করোনায় হুট করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকে বইপত্র হলে রেখেই বাড়িতে চলে গিয়েছিল।পরীক্ষা কারণে তাদের অনেকে হলে বইপত্র নিতে এসে চলমান লকডাউনে আটকে পড়েছে।এদিকে আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাদেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদুল উল আযাহা। দেশে করোনার যে পরিস্থিতি, লকডাউন হয়তো ইদ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।
এই পরিস্থিতে জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল এবং তাদের এই উদ্যোগ সারাদেশে বিশেষ করে ছাত্র সমাজের কাছে প্রশংসীত হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের ঈদের আগে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।।
এমতাবস্থায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে যেসকল শিক্ষার্থী এই লকডাউনে আটকে পড়েছে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দিয়ে ঈদে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাধারন ছাত্র-ছাত্রী এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জেলা সমিতি আগামী এক/দুইদিনের মধ্যে বিশ্বিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারক-লিপি দেবে বলে জানিয়েছেন। এই স্মারক-লিপি অফিস বন্ধ থাকায় সরাসরি পৌছাতে না পারলে ইমেলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করবে বলে তারা জানিয়েছে। তাদের মধ্যে বুলু হোসেন ( নীলফামারী জেলার সাধারণ সম্পাদক) , শেখ ইজাজ ( নড়াইল জেলার সাধারণ সম্পাদক), মামুন হাসান ( চুয়াডাঙ্গা জেলার সভাপতি) , আরাফাত অভি ( শরীয়তপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক), মঞ্জুরুল ইসলাম ( লালমনির হাট জেলার সভাপতি) , ইমরান খান ( ঝিনাইদহ জেলার সাধারন সম্পাদক) , সোহানুর রহমান ( দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক) এবং বগুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক বিষয়টি জানিয়েছেন।
দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে জাবির পরিবহন খাতের একটি বড় অংশ বন্ধ রয়েছে।ফলে গত ১৬ মাসের পরিবহন ব্যয় বাবদ অর্থ ব্যয় হয় নি।এমতাবস্থায় ঈদে শিক্ষার্থীদের যদি বাড়িতে পৌঁছে দেয় তাহলে প্রশাসনের আলাদা ব্যয় হবে না বরং যে অর্থ বিগত ১৬ মাসে খরচ হয় নি সেখান থেকে ব্যয় করতে পারবে।
বিগত সময়ে নানা কারণে শিক্ষার্থীদের সাথে জাবি প্রশাসনের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিলতা করোনার এই সময়ে মানবিক কারণে হলেও ঈদে যদি শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে জাবি প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে শিক্ষার্থীরা যেমন পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারবে তেমনি জাবি প্রশাসনের সাথে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের দূরত্ব ঘুচে যাবে বলে সাধারন ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন জেলা সমিতির প্রতিনিধিরা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২:৩৬:১৮ ১০৩৩ বার পঠিত # #ঈদ #করোনা #জাবি #পরিবহন #বাস #বাড়ি পৌছানো #মহামারি #যানবাহন