বঙ্গনিউজঃ কোপা-ইউরোর ফুটবল উন্মাদনায় চাপা পড়ে গেছে ক্রিকেট উত্তেজনা। মেসি, নেইমার, হ্যারি কেনদের নিয়ে মজেছে বিশ্ব। কোপার ফাইনালে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল। ফুটবল উত্তেজনার মধ্যে আড়ালে চলে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফর। প্রতিপক্ষ বড় দল না হওয়ায় আলোচনা কম হচ্ছে।আজ থেকে শুরু হওয়া একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি গাজি টিভি ও টি স্পোর্টস সরাসরি সম্প্রচার করবে।বাংলাদেশ দলে সাকিব ফিরেছেন। দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ডাকা হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। একমাত্র টেস্টের আগে তামিম ইকবাল নিয়ে আছে সংশয়। এদিকে জিম্বাবুয়ের কন্ডিশন নিয়েও ভয়ে আছে বাংলাদেশ শিবির। এসব স্বস্তি, অস্বস্তি নিয়ে আরেকটা লাল বলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।দীর্ঘ ২১ বছর আগে ক্রিকেটের এই অভিজাত ফর্মেটের সদস্য হলেও এখনো বাংলাদেশ দল দুর্বল রয়ে গেছে। তারপরও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগাররা সব সময়ই নিজেদের সেরাটা দিয়ে এসেছে। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ সাফল্যই এসেছে ২০১৩ সালের পর। একই বছরের পর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব টেস্ট ম্যাচই বাংলাদেশে খেলেছে নিজ মাঠে। ২০১৩ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয় টেস্ট খেলে পাঁচটিতে জিতেছে টাইগাররা। মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সাফল্যের তুলনায় ব্যর্থতা তেমনটা চোখে পড়েনা।সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১৭ টেস্টে সাতটি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, যার ছয়টি এসেছে নিজ মাটিতে। পাঁচটি জয় এসেছে ২০১৩ সালের পর। বাংলাদেশ দলের প্রথম জয় এসেছে ২০০৫ সালে এবং এটাই ছিল বাংলাদেশ দলের প্রথম টেস্ট জয়। জিম্বাবুয়ের মাটিতে বাংলাদেশ দল একটি মাত্র টেস্টে জয় পেয়েছে ২০১৩ সালে। যা ছিল বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফর। সফরে বাংলাদেশ ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামলেও দুই টেস্টের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে শেষ করে টাইগাররা।বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়েও সাতটি টেস্ট জিতেছে এবং তার মধ্যে পাঁচটিই নিজেদের মাটিতে। বাংলাদেশর মাটিতে তারা ২০০১ ও ২০১৮ সালে দুটি টেস্ট জিতেছে। বাকি তিন ম্যাচ শেষ হয়েছে ড্রতে।তবে বর্তমান সময়ে জিম্বাবুয়ে থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের পর থেকে নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেট না খেলায় জিম্বাবুয়ে থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। পাঁচ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসনের পর ২০১১ সালে পুনরায় টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসার পর জিম্বাবুয়ে মাত্র ৩১টি টেস্ট খেলেছে। পক্ষান্তরে এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ খেলেছে ৫৫টি টেস্ট।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, ‘প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটসম্যান-বোলাররা সবাই ভালো করেছে। আমরা টেস্ট ম্যাচেও ভালো কিছু করার আশা করছি। আর শুধু জিম্বাবুয়েতে না, যে কোনো দেশেই অ্যাওয়ে ম্যাচ চ্যালেঞ্জিং হয়। পাঁচদিন ভালো ক্রিকেট খেললে অবশ্যই ফল আমাদের দিকে আসবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৮:০৯ ৬০৪ বার পঠিত # #কোপা-ইউরোর #ক্রিকেট #খেলা #জিম্বাবুয়ে #টাইগার #টেস্ট #ফুটবল #বিশ্ব