বঙ্গনিউজঃ সারা দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। এর জেরে আজ বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর ঢাকা ও আশপাশের জেলা ছেড়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বাড়ি ছুটছেন। ফলে গত কয়েক দিনের তুলনায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে লকডাউনে যাঁরা ঢাকা ছাড়ছেন, তাঁদের পথে পথে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। গুণতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া।ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। সরকারের এ ঘোষণায় কয়েক দিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ তাঁদের গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। গত কয়েক দিন ঘাটে যাত্রীচাপ স্বাভাবিক থাকলেও গতকাল থেকে ঘাটে প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান বঙ্গনিউজ কে বলেন, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চারটি নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে। পুলিশ সেখানে যানবাহন ও যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে অনেক যাত্রী গ্রামীণ পথ ব্যবহার করে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে প্রবেশ করছেন। ফলে ঘাটে একটু চাপ বেড়েছে। তবে যাত্রীদের সচেতন করার জন্য পুলিশ সচেতনামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়া-ভাঙ্গামোড় দিয়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটের দিকে যাচ্ছেন। এ সময় আব্রার হামীম নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন। লকডাউন শুরু হবে বলে তিনি ঢাকায় না থেকে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে চলে যাচ্ছেন।বরিশালগামী যাত্রী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের লকডাউন আজকেই শুরু হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশ টহল দিচ্ছে। গাড়ি চলতে দেয় না। কত কষ্ট করে গ্রামের রাস্তা দিয়ে ঘাটের কাছে এসেছি।’ এ সময় আরও কয়েক যাত্রী বলেন, লকডাউনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, কাজকর্ম—সব বন্ধ থাকবে। ঢাকায় থাকলে অনেক খরচ। খাওয়ার কষ্টে পড়তে হবে। তাই লকডাউনের আগেই তাঁরা ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।ঘাটে ঢোকার পর দেখা যায়, ফেরিতে যানবাহনের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা বেশি। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েক যাত্রী বলেন, লকডাউনের আগে বাড়ি যেতে হলে এভাবেই যেতে হবে। সরকার যদি স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে, তাহলে ফেরির সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারের উচিত সড়কে গণপরিবহন চালু রাখা, নিরাপদে মানুষকে বাড়িতে ফেরার সুযোগ করে দেওয়া।বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শাফায়াত আহম্মেদ আজ বেলা ১১টার দিকে বঙ্গনিউজ কে বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। আগামীকাল কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। তাই যাত্রীরা বাড়িতে ফিরতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। সকালে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ কিছুটা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরিতে উঠতে বললেও কেউ মানছেন না।ফেরিতে মানুষের ভিড়। আজ বুধবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. জাকির হোসেন বলেন, গত তিন দিনের তুলনায় ঘাটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় আছে দুই শতাধিক গাড়ি। এর মধ্যে মালবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৫:৫৪ ৫২৬ বার পঠিত # #কভিড১৯ #করোনা ভাইরাস #বিশ্বস্বাস্থ্য #লক ডাউন #শিমুলিয়া